আওয়ামিলীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। দলের অভ্যন্তরে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে অমান্য করে এরকম হামলা কখনো মেনে নেওয়া যায়না। কা’পুরুষের মতো যারা হামলা করেছে তাদের বিচার দাবি করে একথা বলেন, বেড়া উপজেলা পরিষদ উপ’নির্বাচনের সদ্য মনোনয়ন পাওয়া রেজাউল হক বাবু।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামিলীগ প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে এলাকায় ফিরতেই রেজাউল হক বাবু প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। শনিবার সন্ধ্যায় বেড়া সিএন্ডবি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এঘটনা ঘটে এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পাবনা-১ আসনের সাংসদ শামসুল হক টুকু ও তার ভাই আওয়ামিলীগ থেকে বহিস্কৃত আব্দুল বাতেনের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন, বেড়া উপজেলা আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলাল।
আব্দুর রশিদ দুলাল জানান, বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের মৃত্যুতে পদটি শুন্য হয়। বেড়া উপজেলা পরিষদের উপ’নির্বাচনে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) জাতসাঁখিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুকে মনোনয়ন দেন শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন দলের মনোনয়ন বোর্ড। দলের সিদ্ধান্তকে মেনে শনিবার বিকালে মনোনয়ন পাওয়া রেজাউল হক বাবু ঢাকা থেকে এলাকায় আসেন।
সভানেত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় জনতা কাজিরহাট ঘাটে দলের প্রার্থীকে বরণ করে নেয়। সদ্য প্রয়াত বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার পথে স্থানীয় সাংসদ শামসুল হক টুকু ও তার ছোট ভাই বাতেনের সমর্থকেরা অতর্কিত’ভাবে আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়েছে।
এসময় সন্ত্রাসীরা রেজাউল হক বাবুর গাড়িসহ মোট ত্রিশটা গাড়ি ভাংচুর করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বেড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে এঘটনায় বাবু অক্ষত আছেন বলে দলীয় সুত্র জানায়। দুলাল আরও বলেন, এমপির ছোট ভাই বাতেন নিজের অপকর্মের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সভাপতি এবং বেড়া পৌর মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে এমপি আমাদের অকারনেই দোষারোপ করছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হওয়ার কারণে প্রশাসনকে নিজের মতো করে ব্যবহার করছেন বলেও জানান দুলাল।
হামলার ঘটনায় পুলিশ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেছেন বলে জানান তিনি। বেড়া থানা পুলিশ এর এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের সরিয়ে নেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। এ’ব্যাপারে বেড়া সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার শেখ জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আওয়ামিলীগ প্রার্থীর উপর কতিপয় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে এবং কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। প্রার্থীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমান এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।
তিনি এও বলেন, পুলিশ প্রভাবশালী কারো দ্বারা প্রভাবিত নয়। অভিযোগের সত্যতা পেলে যে কারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে শামসুল হক টুকু এমপির সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ওপাশ থেকে ফোন রিসিভ করা হয়নি।