ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শিক্ষার্থীকে নিয়মিত বলাৎকার করতেন মাদ্রাসার শিক্ষক এই অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মাদ্রাসার ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ওপর পাশবিকতা চালাতেন শিক্ষক।
এক ছাত্রের বাবার করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে মো. বাকী বিল্লাহ মানিক (৩৮) নামে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আজ শনিবার দুপুরে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের করফুলনেছা নূরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসায় নূরানী শাখার প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত মো. বাকী বিল্লাহ মানিক। তিনি একই ইউনিয়নের মানিকরাজ গ্রামের আজিম উদ্দিন মাস্টারের পালিত ছেলে। কিন্তু ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় শিশুদের প্রায়ই বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১৫ নভেম্বর সকালে প্রধান শিক্ষক মানিক মাদ্রাসার পাঠদান কক্ষের ব্ল্যাকবোর্ডের পেছনে নিয়ে নয় বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন। এরপর আরো কয়েকদফা পাঠদান কক্ষেই ওই ছাত্রকে বলাৎকার করে তিনি। এ ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্র মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেয়। গত ২৫ নভেম্বর ওই ছাত্রকে তার বাবা বাড়ি থেকে ফের মাদ্রাসায় দিয়ে আসলেও সে বাড়ি ফিরে যায়। তার বাবা বাড়ি ফেরার কারণ জানতে চাইলে সে বলাৎকারের ঘটনা পরিবারকে জানায়। এঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রের বাবা শুক্রবার রাতে গৌরীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশ ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শুধু ওই শিক্ষার্থীই নয়, আারেক শিক্ষার্থীকেও নিয়মিত বলৎকার করতেন শিক্ষক মো. বাকী বিল্লাহ মানিক। ওই অবস্থায় শিক্ষার্থীর বাবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে শনিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে নিয়মিত বলাৎকার করতেন ওই শিক্ষক। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা শেষে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।