বাংলাদেশ পুলিশের একজন গর্বিত সদস্য মো: আলমগীর হোসেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের রিজার্ভ শাখায়।তিনি চাকুরীর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন সচেতনতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমান সময়ে অনলাইনের ব্যবহারকারী বাড়ার সাথেসাথে বেড়েছে অনলাইন মাধ্যমে নানা অপরাধ। বিশেষ করে হ্যাকিং এর মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ব্ল্যাকমেইলিং, ফেইক আইডি, ফেইসবুক আইডি হ্যাক,ছবি বা ভিডিও এর মাধ্যমে ব্যক্তির সম্মানহানি করার মত প্রতারণা।বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার জন্য এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া সাইবার অপরাধীদের একটি বড় অংশ বসবাস করে দেশের বাইরে। সেখান থেকেই নির্বিঘ্নে এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। তাই একমাত্র সাইবার সচেতনতাই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, যেহেতু আমি দীর্ঘদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কাজ করছি, তাই সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে অনেকেই চোখের পানি ফেলতে দেখেছি আর সোশ্যাল মিডিয়াতে অহরহ দেখতেই পাচ্ছি। আমি নিজেও চোঁখের পানি ফেলেছি। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট একদল অসাধু স্পামার এবং হ্যাকার টার্গেট করে নষ্ট করে দেয়। এক্ষেত্রে আমার অপরাধ ছিল সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে লেখালেখি করা। আমি নিজেই যেদিন শিকারে পরিণত হলাম, সেদিন থেকেই সাইবার অপরাধ এবং সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে আমি ভুক্তভোগী মানুষসহ সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদেরকে এই মাধ্যম কিভাবে নিরাপদ রাখতে হয়, সে বিষয়ে আমার সাধ্য অনুযায়ী সঠিক পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
একইভাবে শুধু সচেতনতার অভাবে বিকাশ হ্যাকিং এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই ঘটনা উদঘাটন করছে।কিন্তু সাইবার সচেতনতা নিশ্চিত না হলে কম শিক্ষিত মানুষকে বিপদমুক্ত রাখা কোনভাবেই সম্ভব হবে না।”তাই আমি সাইবার সচেতনতা চালিয়ে যাচ্ছি ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে। আমি আশা করি কিছু মানুষ হলেও এসব থেকে শিখবে এবং উপকৃত হবে”