ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কলেজছাত্র আবুল কালাম (২৫) মারা গেছেন। গতকাল রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে আবুল কালাম হাসপাতালে ভর্তি হয়।
নিহত আবুল কালাম উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের কাওয়াকান্দা গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে। তিনি কেন্দুয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম সম্প্রতি গ্রামীণ সরকারি পথে মাষকালাই রুপন করেন। শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশী সিদ্দিক মিয়ার ছেলে হারেছ উদ্দিন ধান মাড়াইয়ের জন্য ওই পথ দিয়ে ধান ভাঙানোর ইঞ্জিনচালিত মেশিন নিতে চান। আবুল কালাম বাধা দেন।
এতে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে আবুল কালাম, তাঁর ভাই বিল্লাল মিয়া, হারেছ মিয়াসহ চারজন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল কালামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠান।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে কালামের মৃত্যুর খবর শুনে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহত আবুল কালামের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের শেষে তার গ্রামের বাড়িতে এনে লাশ দাফন করা হবে বিষয়টি নিহত পরিবারের সুত্রে জানা যায়।