ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে হত্যার অভিযোগে শাশুড়ি কে আটক করেছে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ। গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। হত্যার পর তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিলে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়িকে আটক করেছে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে তাসলিমা আক্তার (২৮)। সাত বছর পূর্বে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের চরপুবাইল গ্রামের অলিম উদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়ার (৩২) সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে তাসলিমার বাড়িতে খবর পাঠানো হয় তাসলিমা খুব অসুস্থ্য। দ্রুত পরিবারের লোকজন না গেলে জীবিত অবস্থায় দেখতে পাবে না। ওই অবস্থায় রাতেই পারিবারের লোকজন মেয়ের বাড়িতে যায় কিন্তু তাসলিমার লাশ তাদেরকে পুরোপুরি দেখতে দিচ্ছিল না এবং প্রচার চালানো হয় স্ট্রোক করে মারা গেছে তাসলিমা। এর মধ্যে আজ শুক্রবার সকাল ১১ টায় জানাজার সময় নির্ধারণ করে সকল প্রস্তুতি শুরু করে। কিন্তু ওই সময় নিহতের স্বজনরা তাসলিমার গলায় দাগের ক্ষত চিহ্ন দেখতে পেয়ে তাদেরকে কাছে কারন জানতে চাইলে তখন তারা কোন সঠিক উত্তর না দিয়ে লাশ রেখে সরে পরেন শ্বাশুড়ি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ভীড় শুরু করে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আজ শুক্রবার বেলা ১ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আটক করা হয় নিহতের শ্বাশুড়ি নুরুন্নাহারকে। সুরতহালে নিহতের গলায় ও পেটে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ।
এঘটনায় স্বজনদের দাবি, হত্যার পর নাটক সাজানো হয়। হত্যার বিচার দাবি করেন স্বজনরা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরুধে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হবার জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা নিহতের শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।