ইভিএমে আঙ্গুলের ছাপদিতে বিড়ম্বনায় স্বীকার- ফুলবাড়ীয়ার ভোটাররা আজ সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ১০ টি ভোট কেন্দ্রে ঘন কুয়াশা থাকার পরও পুরুষ ও নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
সরেজমিন ভালুকজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ ভোটকেন্দ্র সকাল ৯ টায় পরিদর্শন করে দেখা গেছে, কাঠের স্কেচের ওপর ভর করে ভোট দিতে এসেছেন প্রতিবন্ধী চান মিয়া (৬০)। দু’বার তিনি ভোট দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তার আঙ্গুলের ছাপ ইভিএম মেশিন নিচ্ছে না। ভোটকেন্দ্র থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ি থেকে সাবান পানি দিয়ে আঙ্গুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে পুনরায় ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য।
প্রতিবন্ধী চান মিয়া জানান, মেশিনে আঙ্গুলে ছাপ উঠে না। দুইবার ভোট দেওয়ার জন্য গেলাম ভোট কেন্দ্রে। এখন বলে দিছে বাড়ি গিয়ে সাবান পানি দিয়ে আঙুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে আসতে। আমি হাঁটাচলা করতে পারি না। সাবান পানি দিয়ে বাড়ি থেকে ভোট কেন্দ্রে আসি কিভাবে। ভোটকেন্দ্রে অনেক খোঁজাখুঁজি করলাম সাবান পানি পেলাম না। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
কেন্দ্রে থাকা এক প্রার্থীর এজেন্ট জয়দেব জানান, পঞ্চাশোর্ধ যাদের বয়স তারা আঙ্গুলের ছাপ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। প্রতিবন্ধী চান মিয়ার মত আরও অনেক ভোটার ভোট না দিতে পেরে বাড়ি ফিরে গেছে।
ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা সংগীতা রানী জানান, প্রতিবন্ধী চান মিয়া ভোট দিতে দুইবার এসেছেন। দুইবার চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে বাড়ি গিয়ে সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল জানান, আমরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে খোজঁখবর নিচ্ছি। যাদের আঙ্গুলের ছাপে সমস্যা হচ্ছে তাদের আঙুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে ভোটগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আর ঠাণ্ডাও বেশি এ কারণেও সমস্যা হচ্ছে। ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে অনেক ভোটাররা এই সমস্যার সন্মুখিন হয়েছে বলে ভোটাররা জানান। তবে ভোটের পরিবেশ ছিল -স্বাভাবীক কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘঠনা ছাড়াই সুষ্ট ভাবে এই নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে।