ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের জীবনদাশকাঠি গ্রামের হতদরিদ্র। চরম হতদরিদ্র নারী রহিমা বেগম এর মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকো জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে গত ৫ বছর ধরে একটু একটু করে ভেঙে পড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে তার ঘরটি।
ভার্চুয়াল জগত ফেসবুকে ভাইরাল হলেও পাশে দাড়ানি কেউ। অবশেষে ঢেউটিন, ঘর মেরামতের জন্য অর্থ আর খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে এলেন আলোকিত সেই ছবির হোসেন!
পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর আসমানীর চেয়েও ভয়ংকর দাদিদ্রের সাথে নিত্য সংগ্রাম রহিমা বেগমের। স্বামী পঙ্গু। ঘরে শুয়ে কিংবা হাসপাতালের বিছানাতেই কাটে তার বারোমাস। রহিমা বেগমের একমাত্র ছেলে ১৫/১৬ বছর আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। তিন মেয়ে থাকলেও তাদের বিয়ে হয়েছে শ্রমজীবি পরিবারে । তাদের ঘরেও নুন আন্তে পান্না ফুরোয়।
শনিবার সকালে ঝালকাঠি শহর থেকে ছুটে যান সমাজ সেবক ও যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন। সাথে নিয়ে যান নতুন ঘরের জন্য দুই বান ঢেউটিন, ঘর মেরামতের জন্য নগদ অর্থ এবং খাদ্য সামগ্রী। সমাজের বিবেকবান মানুষ কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই অসহায় নারীর পাশে না দাড়ালেও এগিয়ে এসেছেন আলোকিত যুবক ছবির হোসেন। তিনি এর আগেও অসহায় দরিদ্র মানুষকে ঘর তুলে দিয়ে, ব্যবসায় পুঁজি দিয়ে এবং করোনায় আর্থিক ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। এবার এই হতদরিদ্র নারীকে পাশে দাড়িয়ে করেছেন মানবতার দৃষ্টান্ত।
আলোকিত যুবক ছবির হোসেন বলেন, এটা আমার দায়িত্ব। মানুষকে কিছু দিতে পারলে আমি পরিতৃপ্তি পাই।আর ঘরের জন্য নতুন টিন, নগদ অর্থ আর খাদ্য সামগ্রী পেয়ে মহা আনন্দে ভাসছেন সেই অসহায় নারী রহিমা বেগম।