বাগেরহাটের শরণখোলায় ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত পৌনে দুইটার দিকে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাসস্টান্ড সংলগ্ন মনিরের ঘরের পাটাতন থেকে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম এই চামড়া উদ্ধার করে।আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।
আটককৃতরা হলেন,বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মোঃ মতিন ওরফে মতি কাজীর ছেলে মোঃ ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫)এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামের মোঃ মোশারেফ শেখের ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৮)।মনিরুল ইসলাম বর্তমানে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাসস্টান্ড এলাকায় বসবাস করেন।তার বাসার পাটাতন থেকে এই চামড়া উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় এসব তথ্য জানান।এসময়,বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ ও মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মো: রেজাউল করিম ও এস আই গাজী মিজানুর রহমান জানতে পারে মনিরের বাসায় হরিণের চামড়া বিক্রি হচ্ছে। গভীর রাতে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা মনিরের বাসায় অভিযান চালিয়ে মোঃ ইলিয়াস হাওলাদার ও মোঃ মনিরুল ইসলামকে আটক করে।এসময় অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়।পরে মনিরুলের বাসার পাটাতন তল্লাসি করে দুইটি ব্যাগ থেকে ১৯টি চামড়া উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরা।
মামলা দায়ের পূর্বক চামড়া ও আটককৃত পাচারকারিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।এসব অপরাধীদের পিছনে কোনো প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্বে ও আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশী তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।পাশাপাশি সুন্দরবনে অপরাধ মুক্ত করতে ৩দিন শরনখোলা,২দিন মংলা ১দিন রামপাল ও ১দিন মোড়েলগজ্ঞ থানা এলাকায় সুন্দরবনে অভিযান অব্যাহত ভাবে চলমান রয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি নীহার রজ্ঞন সাহা,সহসভাপতি নকিব সিরাজুল হক,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শেখ আজমল হোসেন,সাবেক সভাপতি শেখ আহসানুল করিম,আহাদ উদ্দিন হায়দার,সাবেক সহসভাপতি মোল্লা আব্দুর রব,সাবেক সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান,বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী,এম আকবর টুটুল,অধ্যাপক মাহফিজুর রহমানসহ বাগেরহাটের কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন