ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিয়ের খবর জানতে পেড়ে ক্ষুব্ধ-স্ত্রীর হাতে-কাটা পড়ল স্বামীর বিশেষ অঙ্গ। একের পর এক বিয়ে করায় খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে দিয়েছেন প্রথম স্ত্রী। গত চার দিন আগে এ ঘটনা ঘটলেও অবস্থা খারাপ হওয়ায় আজ মঙ্গলবার ওই ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ জেলা সদরে পাঠানো হলে ঘটনা প্রকাশ পায় । ঘটনাটি ঘঠেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার কাকচর মহল্লার।
স্থানীয় সুত্র জানায়, গত প্রায় প্রায় এক বছর ধরে ওই মহল্লার জনৈক আরশাদ আলীর বাসায় ভাড়া থাকেন বেগম আক্তার (২৫) নামে এক নারী। স্বামী সাদ্দাম হোসেন (৩২) ঢাকায় একটি কম্পানিতে চাকরি করেন। এই কারণে কয়েক মাস পরে পরে স্ত্রীর কাছে আসেন। এর মধ্যে প্রায় তিন মাস পার হলেও স্বামী না আসায় খোঁজখবর নিয়ে দেখেন স্বামী সাদ্দাম গাজীপুরে ও শ্রীপুরে দুই নারীর সাথে বসবাস করছে। তা ছাড়া নিজের এলাকা ভৈরবে রয়েছে আরো দুই স্ত্রী। তাঁদের সাথে সময় দিয়ে আসতে গিয়ে দেরি হয়। এর মধ্যে গত চার দিন আগে স্বামী আসেন তাঁর কাছে নান্দাইলে। আসার পর দুই দিন পার হলেও কিছু বলেননি তিনি। এ অবস্থায় গত রবিবার সকালে বসতঘরে শুয়ে দরজা বন্ধ করে দেন স্ত্রী। একপর্যায়ে নিজেকে বিয়ে করার পরেও কেন এত সব বিয়ে করা হয়েছে জানতে চাইলে স্বামী অস্বীকার করেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ব্লেড দিয়ে আচমকা স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে দেন। তখন লজ্জায় চিৎকার না দিলেও নিজেকে রক্ষা করতে তিনি নান্দাইল সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
হাসপাতাল থেকে জানা যায়, ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসকরা বিশেষাঙ্গে সাতটি সেলাই দিয়ে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু পরে গোপনে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন। অতি গোপনে অন্য এক স্থানে থেকে চিকিৎসা নিতে থাকলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এ অবস্থায় ফের তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গেলে প্রকাশ পায় এই ঘঠনা। হাসপাতাল সুত্রে যানা যায় সাদ্দামের বতর্মান-অবস্থা আশঙ্কাজনক।