পাবনায় মেয়ের পরকীয়ার সৃষ্ট সংঘর্ষে হাজেরা খাতুন (৫১) নামের এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় মেয়ে নাগরী খাতুন, বাবা মুকুল প্রামাণিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের পাথাইলহাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) মামলার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।সাঁথিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক জানান, পাথাইলহাট গ্রামের প্রামাণিক গোষ্ঠীর মুকুল প্রামাণিকের মেয়ে নাগরী খাতুনের (৩১) সঙ্গে একই গ্রামের সরদার গোষ্ঠীর ছেলে নেকবার হোসেনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ ঘটনায় উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে নেকবার হোসেন তার প্রেমিকা নাগরীর ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার মা তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।একপর্যায়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্য বাগবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সরদার গোষ্ঠীর একজনের আঘাতে মুকুল প্রামাণিকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনার ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- নাগরী খাতুন, নাগরী খাতুনের বাবা মুকুল প্রামাণিক (৫৮), জহুরুল ইসলাম (৩০), মুরাদ হোসেন (৩৪), খালেক সরদার (৩৫), নওশাদ সরদার (৫০) ও নেকবার সরদার (৩০)।
আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত হাজেরা খাতুনের ছেলে মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে ১৪ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বিকেলেই অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।