পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে জুবিলী পুকরের কাছে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সেখানে পাবনা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শিবলি সাদিক উপস্থিত ছিলেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। তবে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, পুলিশের সঙ্গে নয়, মূলত র্যাবের সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে। র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনার ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার আমিনুল কবীর তরফদার জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে জটলা তৈরি হয়েছিল। জটলা কমানোর জন্য তাদের হটিয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া তাদের সঙ্গে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পাবনা সদর পৌর নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার কাওছার মোহাম্মদ জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। পাবনা পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান জানান, পাবনার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একজন ভোটারও যেন ভোট দিতে গিয়ে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন না হয় সেদিকটা নজর রাখা হচ্ছে। যে কোনো প্রকার সহিংস ঘটনা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৭৪ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। পৌরসভার ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও পাঁচটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ৩৪৬টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ১২ হাজার ২৪৪ জন।