পাবনায় প্রথম ধাপের করোনার ডোজ টিকা আসছে ৮৪ হাজার। এতে করে ৪২ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ পাবনায় মোট ৩৫ টি বুথে করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনা টিকা নিতে সর্বপ্রথম অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্যাকসিন বিষয়ে প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এমন কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল মোমেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন আবু জাফর, জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আইয়ুব হোসেন, মেডিসিন কনসালটেন্ট ডাঃ সালেহ মোহাম্মাদ আলী, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খানসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী। এ সময় জেলা প্রশাসক জানান, গত ২৯ জানুয়ারি ভোর ৪ টার দিকে ৮৪ হাজার ডোজ করোনার টিকা আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে, এক ভায়াল ১০ জনকে দেওয়া হবে। জেলা ইপিআই কেন্দ্রে করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হয়েছে। অ্যাপে আবেদনের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। যাদের আগে টিকা দেওয়া হবে তাদের তালিকা প্রস্তুত সম্পন্ন করতে হবে।
সব উপজেলার জন্য ৩ টি করে বুথে, সদরে ৮ টি বুথে করোনার টিকা দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক মানুষেরা টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়াও পরবর্তী ধাপে পর্যায়ক্রমে অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষদের টিকা দেওয়া হবে। পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল মোমেন জানান, পাবনায় এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৬৬৩ জন। মারা গেছেন ১১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৪১ জন। তিনি আরও বলেন, করোনার ভ্যাকসিন অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতই কাজ করবে, এটাতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে না, তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি হবে না।
এটি একেবারেই নতুন হওয়ার কারণে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। ৬ তারিখের মধ্যে ভ্যাকসিন বিষয়ে সব ট্রেনিং শেষ হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পাবনায় করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান ।