November 22, 2024, 10:57 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

একটি কৃত্রিম পায়ের জন্যই যত আকূতি মেধাবী ছাত্র অভিজিতের

মোঃ রোকনুজ্জামান টিপু, তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
  • 328 দেখুন

শারিরীক প্রতিবন্দ্বী অভিজিৎ মন্ডল (২০)। এবার তালা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজ থেকে এইচ,এস,সি ৪.০৮ গ্রেডে পাশ করেছে। এস,এস.সিতেও ছিল ৪.২৮ গ্রেড। ইচ্ছা ফিন্যান্স অথবা মার্কেটিংয়ে অনার্স পড়ার। তবে বাঁধ সেধেছে দারিদ্রতার পাশাপাশি নিজের প্রতিবন্দ্বিতা। জন্ম থেকেই তার ডান পা’টি নেই। ক্রাচের উপর ভর দিয়ে চলা-ফেরা করে সে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালকালীণ বে-সরকারি সাহায্য সেবী সংস্থা ডিআরআরএ প্রথমবার একটি কৃত্রিম পা সংযোজন করে তার। এরপর এস,এস,সি পাশ করার পর দ্বিতীয় বার ফের আরো একটি পা দিলেও বর্তমানে তা একবারে নষ্ট হয়ে গেছে। আর এতেই চলাফেরার পাশাপাশি জীবন ধারনে ভোগান্তি বেড়েছে তার।

অভিজিতের পিতা সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের খরাইল গ্রামের দীপঙ্কর মন্ডল একজন ভূমিহীন দিন মজুর। মা ঝর্ণা রাণী মন্ডল পরের বাড়ীতে কাজ করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করেন। দু’ভাইয়ের মধ্যে অভিজিৎ ছোট। বড় ভাই অনুকুল মন্ডল সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। উভয়ই টিউশনি করে পড়া-লেখা চালিয়ে আসছে।

শারিরীক প্রতিবন্দ্বী অভিজিতের পড়া-লেখার প্রতি অদম্য বাসনা। তাঁর ইচ্ছা, প্রতিবন্ধী হিসেবে পরের মুখাপেক্ষী হয়ে নয়। পড়া-লেখা শিখে মানুষের সেবা করতে চায় সে। তবে পা নাথাকায় চলে-ফেরায় ভোগান্তিতে টিউশনি বন্ধ রয়েছে। অর্থাভাবে অনার্স ভর্তিতেও নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। শুভ আগামীর পথে এই মূহুর্তে দরকার একটি কৃত্রিম পা।
অভিজিৎ জানায়, ছোট বেলায় যে বয়সে তার আর ১০ জন ছেলে-মেয়েদের সাথে খেলা করে বেড়ানোর কথা। ও তখন মাঠের পাশে সমবয়সীদের খেলা উপভোগ করত। ভীষণ খারাপ লাগত তখন ওর। তবে এর জন্য সৃষ্টি কর্তাসহ বাবা-মাকে কোন রকম দোষারোপ করে না সে। বরং নিয়তিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েই সার্বক্ষণিক পড়া-লেখায মনোনিবেশ তার।

সরকারের পাশাপাশি বে-সরকারী পর্যায়ে কিংবা সমাজের এমন কেউ কি আছেন পড়া-লেখার সামান্য সহযোগিতার পাশাপাশি একটি কৃত্রিম পা সংযোজন করে দিতে পারেন? জন্ম থেকে অদ্যবধি প্রতিটি মূহুর্তে বেঁচে থাকতে সংগ্রাম করছে অভিজিৎ। সংগ্রামী মানষিকতাই একদিন হয়তো তাকে পৌছে দেবে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে। এর জন্য প্রয়োজন সামান্য সহযোগিতা। দেশের আনাচে-কানাচে বেড়ে ওঠা অভিজিতদের প্রতিভা বিকাশের মাধ্যম বা সারথি হিসেবে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। সকলের সহযোগিতায় বেড়ে উঠুক তারা, এমন প্রত্যাশা সকলের।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102