ময়মনসিংহের নান্দাইলের উদং মধুপুর গ্রামে প্রেমের টানে প্রেমিকার সাথে গভীর রাতে দেখা করতে যায় প্রেমিক সুমন মিয়া। গল্প গুজবের এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্ক করা উদ্দেশ্যে প্রেমিকাকে জোড় করলে প্রেমিকার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে হাত-পা বেঁধে সেই প্রেমিক সুমনকে ধোলাই দেয়।
আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিতে স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে প্রেরন করে। তবে সেখানে না গিয়ে গোপনে অন্যত্র চিকিৎসা করাচ্ছে সেই যুবক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের উদং গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মো. সুমন মিয়া (১৭) পাশের উদংমধুপুর গ্রামের এক মাদরাসাপড়ুয়া ছাত্রীর (১৪) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গভীর সম্পর্কের একপর্যায়ে ছাত্রীর পরিবার এ সম্পর্ক কোনোভাবেই মানতে নারাজ। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকবার সালিস হলে সুমনের সাথে ছাত্রীর দেখাশোনা বন্ধ হয়ে যায়। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সুমন। এ অবস্থায় শুক্রবার গভীর রাতে সুমন গিয়ে হাজির হয় ছাত্রীর বাড়িতে। একপর্যায়ে ঘরে প্রবেশ করে কথাবার্তার একপর্যায়ে শারীরিক সর্ম্পক করতে চাইলে বাধা দেয় ছাত্রী।
ওই ছাত্রী জানায়, আচমকা ঘরে প্রবেশ করলে বাবা-মায়ের ভয়ে ঘটনা চেপে রেখে তাকে (সুমন) চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু সুমন তাকে ঝাপটে ধরে অনৈতিক কিছু করতে চাইলে সে চিৎকার দেয়। এ সময় পাশের ঘর থেকে বাবা ও ভাইয়েরা এসে তাকে ধরে বেঁধে ফেলে। পরে মারধর করে ছেড়ে দেয়।
সুমনের বাবা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, তার ছেলেকে ওই মেয়ে মোবাইল করে ডেকে নেয়। পরে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। তিনি দাবি করেন, মারের কারণে তার ছেলের একটি পা ও হাত ভেঙে গেছে। মাথায় আঘাত পেয়েছে। পরে ছেলেকে নান্দাইল উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সেখানে না নিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা করানো হচ্ছে। কোথায় চিকিৎসা করানো হচ্ছে তা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
নান্দাইল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রাফি আদনান বলেন, ওই ছেলেটার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাত ও পায়ে আঘাতটা বেশি হওয়াতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।