সরকারি ঘর বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে দু’বছর আগে ৩ গৃহহীনের কাছ থেকে ২৩ হাজার টাকা নিয়েছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু দু’বছরেও ওই ৩ গৃহহীন ঘর পাননি বলে সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ২নং নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নিমাইচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম কামরুজ্জামান খোকন তার বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিমাইচড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বহরমপুর গ্রামের মৃত সুবল দন্দ্র দাসের ছেলে পরেশ দন্দ্র দাস (৬০), সুদেপ হালদারের স্ত্রী জুসনা রাণী (৪৮) ও আফসার শেখের স্ত্রী মোনেকা খাতুন (৫০)।
লিখিত অভিযোগ এবং এসব ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা দরিদ্র গৃহহীন। সরকারি ঘর পাওয়ার আশায় চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান টাকা নিয়ে তাদের ঘর দেয়ার আশ্বাস দেন। সেসময় পরেশ দন্দ্র দাসের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা, জুসনা রাণীর কাছ থেকে ৮ হাজার এবং মোনেকা খাতুনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ নেন চেয়ারম্যান। সম্প্রতি অন্যান্য গৃহহীনরা সরকারিভাবে ঘর পেলেও তারা বঞ্চিত হন। এতে তারা চেয়ারম্যানের কাছে গেলে চেয়ারম্যান বিষয়টি এড়িয়ে যান। এমনকি তাদের গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখিয়েছেন।ভুক্তভোগীরা জানান, তারা গরিব অসহায় মানুষ।
এ টাকা তারা ধার দেনা করে বা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দিয়েছেন। এখন তারা বাধ্য হয়ে ইউএনওর শরণাপন্ন হয়েছেন। এদিকে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান এবং নিমাইচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচএম কামরুজ্জামান খোকন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা তার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। তিনি কারো কাছ থেকে ঘর দেয়ার কথা বলে কোনো টাকা পয়সা নেননি। যারা এগুলো বলছেন তারা তার সামনে গিয়ে বলতে পারবেন না। চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈকত ইসলাম জানান, এ বিষয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।