November 24, 2024, 6:26 pm
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

গৌরীপুরে অতিরিক্ত-বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ

তাপস কর,ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, মার্চ ১২, ২০২১
  • 307 দেখুন

গৌরীপুরে অতিরিক্ত-বিদুৎ বিল প্রত‍্যাহারে জন‍্য আজ শুক্রবার ময়মনসিংহের গৌরীপুর বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন গ্রাহকরা।

শুক্রবার উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া কদমতলী বাজারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক। তিনি বলেন, যত ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করব, শুধু তার বিল দেব। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে মাতৃভূমি স্বাধীন করেছি। স্বাধীন দেশে বিদ্যুৎ বিভাগের আচরণ দেখে মনে হয়, আমরা এখনও পরাধীন। মনে হচ্ছে- তারা যাই করবে, আমাদের তাই মেনে নিতে হবে। এটা হতে দেওয়া হবে না।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মো. হাসিম উদ্দিন, মো. মফিজ উদ্দিন, ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, গৌরীপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, ব্যবসায়ী মো. রইছ উদ্দিন প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে কোনাপাড়া গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন জানান, তিনি একজন মুদি দোকানি। তার নবেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৩২৭ টাকা।
তিনি আরও জানান, অক্টোবর মাসেও বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৮ হাজার ১১৪ টাকা ইউনিট ছিল ১২৯৬০। এক মাসে রিডিং ৯৩ হাজার ৮১৪ ইউনিট উঠে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদন করেও তিনি কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানান।
একই গ্রামের মৃত তালে হোসেনের ছেলে মো. হযরত আলী জানান, জানুয়ারি মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৩৭১ টাকা। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে বিল হয়েছে ১৩ হাজার ৬৪৭ টাকা।
একই গ্রামের গুজন আলীর ছেলে আব্দুল খালেক জানান, জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ৬০৩ টাকা আর ফেব্রুয়ারি মাসে ১৮ হাজার ১০০ টাকা বিল এসেছে তার।
আফিস আলীর ছেলে মো. নবী হোসেন জানান, জানুয়ারি মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৩৯৩ টাকা। অথচ ফেব্রুয়ারি মাসে বিল হয়েছে ২৬ হাজার ৬০১ টাকা।
আরব আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, জানুয়ারি মাসে ৫৪৪ টাকা আর ফেব্রুয়ারিতে ৯ হাজার ২৭৯ টাকা বিল করা হয়েছে।
নিখিল চন্দ্র ধরের ছেলে নন্দন চন্দ্র ধর জানান, জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ১৪৩ টাকা ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিল এসেছে ৫ হাজার ৫১২টাকা।
জনু শেখের ছেলে রোমালী মণ্ডল জানান, জানুয়ারি মাসে ৫৪৩ টাকা ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৯ হাজার ২৭৯ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে।

মৃত কমির উদ্দিনের ছেলে আবুল কাসেম জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ হাজার ৬৫ টাকা।
একই গ্রামের আবুল কালাম জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন মিটার না দেখেই ‘ভুতুড়ে’ বিল করছেন। তার মিটার রিডিং ১২ হাজার ১৫৫ ইউনিট, অথচ বিল করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৩৫ ইউনিটের।
একই গ্রামের মৃত আনির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হেলিম একই অভিযোগ করে জানান, মিটার না দেখেই ফেব্রুয়ারি মাসে তার বিল করা হয়েছে ৯ হাজার টাকা।
এ প্রসঙ্গে গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) নিরঞ্জন কুন্ডু বলেন, গ্রাহকদের অনুমোদনবিহীন কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য আইনের ৩৮ ধারায় এ জরিমানা করা হয়েছে। আবাসিক সংযোগ নিয়ে সেচ বা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের ঘটনায় তদন্তসাপেক্ষে এব‍্যাপারে-ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গ্রাহকদের অতিরিক্ত বিল তদন্তে প্রমাণিত হলে পরবর্তী বিদুৎ বিলে সমন্বয় করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102