November 23, 2024, 2:32 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

কপোতাক্ষ নদ পরাপারে একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপুর্ন বাঁশের সাঁকো

মোঃ রোকনুজ্জামান টিপু,সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : রবিবার, মার্চ ২১, ২০২১
  • 285 দেখুন

কপোতাক্ষ নদের তালার ঘোষনগর খেঁয়াঘাটের ঝুকিপুর্ণ বাঁশের সাঁকো পরাপারের একমাত্র ভরসা । বাঁশের সাঁকোটি এখন রীতিমত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে । সাঁকো পার হতে গেলে থরথর করে কাঁপে। সাঁকো দোলার তালে তালে বুক ধড়ফড় করে। কখন যে সাঁকোর বাঁশ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে! তবে আশা আছে মনে, একদিন এখানে হবে একটি ব্রীজ হবে।এভাবেই দুর্ভোগ ও আশার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে রবিবার সকালে তালার ঘোষনগরে যেয়ে দেখা গেছে, কপোতাক্ষ নদের ওপারে সাতক্ষীরার তালার কানাইদিয়া এপারে ঘোষনগর। ওপারের মানুষ এপারে, এপারের মানুষ ওপারে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ঐ বাঁশের সাঁকো। তালাসহ বিস্তীর্ণ জনপদের মানুষের নদী পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটি দিয়ে নদী পার হতে হয়।

এখানে খেঁয়াঘাটে নৌকা পারাপারের কথা থাকলেও ঘাটের ইজারাদারা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে টোল আদায় করে। সাঁকোর খন্ড খন্ড চরাটগুলির কোনটাই এখন আর নিরাপদ নয়। বাঁধন না থাকায় তার উপর পা দিলেই রয়েছে গড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি। নেই ন্যুনতম কোন গার্ডার। এমন অবস্থায় সাঁকো দিয়ে মানুষ পারাপারে কোন রকম অসাবধানতায় পা সরে মালামালসহ পড়তে হয় পানিতে। এতে কোন রকম প্রাণে বেঁচে গেলেও ভেঁজা কাপড় ও সাথে থাকা মালামালসহ মূল্যবান জিনিষপত্র নষ্ট হয়ে যায়।ঘোষনগর খেঁয়াঘাটের বাঁশের সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

ভূক্তভোগীরা জানান, ঘোষনগর খেঁয়াঘাটে বরাবরই যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হয়। এনিয়ে ঘাঁট মালিক-যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। তবে টোল বেশি নিলেও সেখানে সেবার মান ক্রমশ তলাণিতে ঠেকছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় সাঁকোটি। এত কিছুর পরও হুশ হচ্ছেনা কতৃপক্ষের।
তালা উপজেলার রথখোলা গ্রামের জয়ন্ত হালদার জানান, সাঁকো দিয়ে আমরা যখন পারাপার হই,দু’টাকাও নেয়,পাঁচটাকাও নেয়। যাওয়া আসা করতে দশ টাকা খরচা হয়। এমনও হয়,দিনে অনেকবার পারাপার হতে হয়।এখানে একটি ব্রিজ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কষ্টের শেষ নেই।

রথখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক খলিলনগর গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত রায় জানায়,আমরা স্কুল শিক্ষক হলেও টোল দেয়া থেকে রেহাই পাইনা। প্রতিদিন বেশ টাকা খরচ হয়। বর্ষা মৌসুমে জীবনের ঝুকি নিয়ে অনেক কষ্টে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়।এখানে একটা ব্রিজ হলে এমন সমস্যা থেকে আমরা রেহাই পেতাম।

স্থানীয় ইউপি মেম্বর কালিদাশ অধিকারী জানান, খেয়াঘাটের বাঁশের সাঁকোটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘাটের ইজারাদার টাকা নিচ্ছে ঠিকই কিন্তু এটি মেরামতের করছে না।

এ বিষয়ে ঘাটের ইজারাদারের সাথে কথা বলতে টোল ঘরে গেলে দাযিত্বশীল কাওকে পাওয়া যায়নি। তবে টোলঘরে এক মহিলাকে বসে টোল আদায় করতে দেখা যায়।তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন, উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদের মানুষের নদী পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটি দিয়ে পার হতে হয়। উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এখানে ব্রিজ নির্মাণ জরুরী। কয়েকবার জরিপও হয়েছে। কিন্তু আইনী জটিলতায় তা কার্যকর হয়নি। জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রæত ঘোষনগরে কপোতাক্ষ নদের উপর ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানান তিনি ।

তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারিফ-উল-হাসান বলেন, আমি অতি স¤প্রতি যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে জনস্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102