লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিএনপির বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর উপস্থিতিতে নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বর্ধিত সভা শেষে বিএনপির নেতারা চলে গেলে সভার চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।
|আরো খবর
বিএনপি নেতা খন্দকার আহাদ মারা গেছেন
শাল্লায় গিয়ে সরকারকে দুষলো বিএনপি
বিএনপি নেতা রুহুল আলম চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন
রোববার দুপুরে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির পুরাতন পার্টি অফিসে হাতাহাতি ও বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেনের বাড়িতে সভা শেষে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলায় বিএনপির বর্ধিত সভায় যোগ দিতে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাট থেকে হাতীবান্ধা আসেন। এসময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুরাতন পার্টি অফিসের সামনে সাবেক এমপি জয়নুল আবেদীন সরকারের বড় ছেলে সায়েদুজ্জামান কোয়েলসহ তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা দুলুর মাইক্রোবাস থামিয়ে নানা অভিযোগ করেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোশারফ হোসেন ও সদস্য সচিব আফজাল হোসেন মিয়ার সমর্থিত নেতাকর্মীর সাথে কোয়েল সমর্থিত নেতাকর্মীদের হাতিহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোশারফ হোসেনের বাড়িতে বর্ধিত সভা হয়।
সেখানে বর্ধিত সভা শেষে বিএনপির নেতাকর্মীরা চলে গেলে পাশে আওয়ামী লীগ অফিস থেকে বের হয়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা বর্ধিত সভার চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের করেন বলে অভিযোগ উঠে। এসময় সাউন্ড সিস্টেমের এক শ্রমিককেও মারধর করা হয়। এর আগে বিএনপি বর্ধিত সভার আয়োজন করলে একই দিনে পাল্টা কর্মসূচীর ঘোষণা দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক পারভেজ হোসেন বলেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছাত্রলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় তাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে ছাত্রদল নেতা রুবেল বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেনের বাড়ির দিকে পালিয়ে যায়।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের এক নেতা ছাত্রলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে উত্তেজনা দেখা যায়। এসময় দুই-একটি চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।