ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বাবাকে-হুজুর সাজিয়ে ছেলের বিয়ে পরে স্ত্রীর ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মোবাইলের রং নম্বরে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম। পরে প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে এনে নিজের বাবাকে হুজুর-সাজিয়ে দোয়া পড়িয়ে বিয়ে করেন জান্নাতুল বাকী। মৌখিক বিয়ের পর শুরু হয় সংসার। একপর্যায়ে স্ত্রী বিবাহ নিবন্ধনের কথা বললে তাকে তাড়িয়ে দেন স্বামী। পরে স্বামী জান্নাতুল বাকীর নামে ধর্ষণ মামলা করেন স্ত্রী। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত জান্নাতুল বাকীকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠায়। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি গ্রামের এক তরুণীর (১৯) সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উছারগাতি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জান্নাতুল বাকীর (২১)। একপর্যায়ে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের একপর্যায়ে জান্নাতুল বাকী তরুণীকে নিজ বাড়িতে ডেকে এনে বিয়ের প্রস্তাব দেন। দুজন রাজি হওয়ায় গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতে প্রেমিক তাঁর বাবা আব্দুর রাজ্জাককে ‘হুজুর’ সাজিয়ে দোয়া পড়িয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। এ সময় প্রেমিকা নিবন্ধনের কথা বললে পরে করিয়ে নেবেন বলে সংসার শুরু করেন। কয়েক দিন পর বাকীকে বিয়ে নিবন্ধনের কথা বললে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ থানায় জান্নাতুল বাকীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন স্ত্রী। এর পর থেকেই অভিযুক্ত জান্নাতুল বাকী পলাতক থাকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক কাউসার আহম্মেদ জিয়াদ জানান, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে অভিযুক্ত জান্নাতুল বাকীকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নবাবগঞ্জ বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতকে আজ শুক্রবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।