ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক ইউপি সদস্যকে মধ্যরাতে বিধবা নারীর ঘর থেকে আটক করেছে স্থানীয়রা। রাতে ওই নারীর ঘরে ইউপি সদস্যের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরে রেখে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় স্থানীয়রা। পরে দুজনই বিয়ে করতে রাজি হলে স্থানীয়দের মাধ্যমে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। এমন খবর পেয়ে পুলিশ আসার আগেই ওই নারীকে নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন ইউপি সদস্য। এঅবস্থায় দুজনকে না পেয়ে পুলিশ ফিরে আসে থানায়।
জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম (চার সন্তানের জনক) বিধবা ভাতার কার্ড দিবে বলে এক নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে। এ ভাবে দুই বছর ধরে সম্পর্ক চলে আসছে। এরই মাঝে গত শনিবার (১ মে) রাতে ওই বিধবা নারীর ঘরে সাইফুল প্রবেশ করে। ওই নারীর স্বামী প্রায় পাঁচ বছর আগে মারা গেলেও তার দুটি সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় রাত ১২টার পর এলাকাবাসী ওই নারীর ঘরে সাইফুল ইসলাম ও নারীকে ঘরে আটকে রাখে। পরে রবিবার সকালে দুজনই বিয়ে করতে রাজি হলে স্থানীয়দের মাধ্যমে কাজী ডেকে এনে সাড়ে তিন লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের পর বিধবা নারীকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সাইফুল।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম বলেন, বিধবা ভাতার কার্ডের তথ্য নিতে রাতে ওই নারীর ঘরে ইউপি সদস্য সাইফুল গিয়েছিলেন। এমন খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দুজনের কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে আমরা ফিরে আসি।
কাজী মাহবুব বলেন, আমাকে বাসা থেকে সকালে ডেকে আনা হয়েছে। এসে জানতে পারি মেম্বার ও ওই নারীকে বিয়ে পড়াতে হবে। এ অবস্থায় দুজনের সম্মতিতেই বিয়ে পড়ানো হয়।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।