মেয়ের প্রেমিককে ইউপি সদস্যের বাড়ির পেছনে হত্যার পর পুতে রাখায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অষ্টধর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির ছাত্র আকাশ মিয়া (১৭)-নামে এক যুবককে অষ্টধর ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ওই ইউপি সদস্য আকাশকে হত্যার পর তার বাড়ির পেছনে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে। নিহত আকাশ অষ্টধর ইউনিয়নের ভুগলি মন্ডল বাড়ি গ্রামের মোঃ আক্রাম হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অষ্টধর ইউনিয়নের ভুগলির ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের বাড়ির পেছন থেকে নিহত আকাশের মরদেহ ময়মনসিংহ সদর সার্কেল এএসপি আলাউদ্দিনের উপস্থিতিতে উত্তোলন করা হয়।
এব্যপারে ময়মনসিংহ সদর সার্কেল এএসপি আলাউদ্দিন বলেন-ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অষ্টধর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের মেয়ের সাথে নিহত আকশর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২রা মে তারা দুজনে পরিবারকে না জানিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করে যার যার বাড়ি চলে যায়। সম্প্রতি তাদের কোর্ট ম্যারেজের বিষয়টি তাদের দুজনেরই পরিবারের লোকজন জানতে পারে। আর এই জানাটাই নিহত আকাশের কাল হয়ে দাড়াঁয়। গত বুধবার মেয়েটি আকাশকে ফোন করে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই আকাশকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আকাশের বাবা বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগর ভিত্তিতে পুলিশ শুক্রবার ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের বাড়ি তল্লাশি করে। এসময় জিয়াউর রহমানের ঘরর পাশে রক্তের দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। জিয়াউর রহমানের ঘরের পেছনে খুঁড়ে রাখা নরম মাটি দেখে পুলিশের সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। এরপর সেই সন্দেহজনক জায়গা খুঁড়ে আকাশের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়মনসিংহ সদর সার্কেল এএসপি আরো বলেন-লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রথমিকভাবে জিজ্ঞসাবাদের জন্য মেয়েটির মা রোজিনা আক্তার এবং মেয়েটির চাচি নার্গিস আক্তারকে আটক করা হলেও বাকি অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। এব্যপারে মামলা দায়ের হয়েছে।