প্রচন্ড গরমে যেখানে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ অবস্থা সেখানেই কদর বেড়ে গেছে তালপাখার। পাবনার প্রতিটি উপজেলায় প্রচন্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ নির্ভরশীল এলাকায় কদর বেড়েছে তালপাখার। চাহিদা বাড়ায় পাখা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাবনার সুজানগর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ।
সুজানগর পৌর বাজারের তালপাখা বিক্রেতা শ্রী নবকুমার সাহা বলেন, গরম যত বৃদ্ধি পাচ্ছে তালপাখার কদরও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঈদের আগে যেখানে দিনে ১০০ থেকে ২০০ পিস পাখা বিক্রি করতাম, সেখানে গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে এখন প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ পিস পাখা বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতিটি পাখা ১৫-২৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলেও জানান তিনি।
তালপাখা কিনতে আসা পৌরসভার হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা তুফান খান জানান, বর্তমানে প্রচণ্ড গরম সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক লোডশেডিং, তাই গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে তিনি তালপাখা কিনেছেন। অপর এক ক্রেতা ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা মাজেদা খাতুন বলেন, সমাজের ধনী লোকেরা বিদ্যুৎ চলে গেলে আইপিএস/জেনারেটর চালুর মাধ্যমে গরম থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু আমাদের তো আর সেই সামর্থ্য নেই। তাই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর এই তালপাখাই আমাদের একমাত্র ভরসা। উপজেলার খলিলপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন নামে এক পাখার কারিগর বলেন, গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আশ্বিন, কার্তিক ও চৈত্রসহ কয়েকটি মাসে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ এবং ভ্যাপসা গরম পড়ে। তাই তালপাতা দিয়ে তৈরি হাতপাখার চাহিদাও বেড়ে যায় বহুগুণ। এ সময়ে তাদের ব্যস্ত সময় পার করতে হয় বলেও জানান তিনি।