November 22, 2024, 1:07 pm
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নে ২৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, জুন ৮, ২০২১
  • 255 দেখুন

কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দরের ঐহিত্য ফিরিয়ে এনে অর্থনৈতিকভাবে এই জেলাকে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ‘চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদীবন্দর নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৮ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০১৬ সালে কুড়িগ্রাম সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছর থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বিআইডব্লিউটিএ।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, নৌ-বাণিজ্য ও অতিক্রমণ প্রকোটলের আওতায় ভারতের আসাম এবং নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে চিলমারী এলাকাকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, ৩৩ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ নৌ চলাচল চ্যানেল ও বেসিন তৈরি, ২ দশমিক ৫১ লাখ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন করা। এর আওতায় ২ হাজার ৪৮০ বর্গমিটার আরসিসি জেটি, এক হাজার বর্গমিটার আরসিসি পেভমেন্ট, ৩৭৯ দশমিক ৮ বর্গমিটার স্টিল জেটি তৈরি করা হবে। এতে ৭৮৫ মিটার তীর রক্ষা, এক হাজার ৩০৪ বর্গমিটার গুদাম, ৫টি পন্টুন, বন্দর ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ডরমিটরি থাকবে।

এ ছাড়া পাইলট হাউজ, শ্রমিক বিশ্রামাগার প্রভৃতি অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এই সুবিধাদি নির্মাণের মাধ্যমে চিলমারী এলাকায় বছরে প্রায় ৩ দশমিক ২৫ লাখ যাত্রী ও ১ দশমিক ৫ লাখ টন মালামালের সুষ্ঠু ও নিরাপদ ওঠানামা নিশ্চিত হবে। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার প্রায় ৬০ লাখ জনসংখ্যার জন্য চাহিদার অনুপাতে প্রয়োজনীয় যাত্রী ও মালামাল পরিবহন অবকাঠামো সুবিধা দেয়া হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চিলমারী বন্দর কুড়িগ্রাম জেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত যা জেলা শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে। এ বন্দরটি এক সময় কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং যাত্রী ও মালামাল পারাপারে অন্যতম প্রধান বন্দর বাজার হিসেবে পরিচিত ছিল। যমুনা নদীর ভাঙনে দিনে দিনে এ বন্দরের গুরুত্ব কমেছে।

বর্তমানে স্থানীয়ভাবে অসংখ্য যাত্রী এবং মালামাল রৌমারী, রাজীবপুর, কোদালকাঠি, নায়েরহাট, অষ্টমিরচর ইত্যাদি এলাকা থেকে চিলমারী এলাকায় ওঠানামা করে থাকে। প্রতিদিন প্রায় ৫০০-৬০০ যাত্রী এ এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে। শুধু রৌমারী ও চিলমারীর মধ্যেই প্রতিদিন বৃহদাকার ৮-৯টি জলযান আসা-যাওয়া করে থাকে। এ ছাড়া ৭০ থেকে ৮০ টন মালামাল প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ওঠানামা করে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যমান নৌ-প্রটোকলে চিলমারী একটি পোর্ট অব সেল হিসেবে চিহ্নিত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102