ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া পোনা নদীর পশ্চিম পারে চাড়াখালী গ্রাম। এই গ্ৰামে সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগের কয়েক যুগের পুরানো পোনা নদীর উপর নির্মিত মরহুম আকাব্বর হাওলাদারের বাড়ি সংলগ্ন ১১০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাকোটি ছিল এক সময়ে চাড়াখালী গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।
গতবছর বছরের মাঝামাঝি সময় টানা বর্ষণ ও ঘুর্নিঝড় আম্ফানের প্রভাবে পোনা নদীর উপর নির্মিত পুরানো সাকোটি ভেঙে যাওয়ার পর দুর্ভোগে পড়েন নদীর দুই তীরের মানুষ। এতে কৃষি পণ্য ও নানা ধরনের মালামাল নিয়ে পার হতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হতো। এছাড়া শিশু এবং শিক্ষার্থীরা পারাপারে অসুবিধার সম্মুখীন হতো। এতে অর্থ ও সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, এখানে একটি সেতু নির্মাণের। কিন্তু বছরের পর বছর চলে গেলেও সেই দাবি পূরণ হয়নি কয়েক গ্রামের মানুষের। বছরের পর বছর মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও আজও সুনজর পড়েনি কর্তৃপক্ষের। ফলে নদীর দুপ্রান্তের মানুষের সেতুবন্ধন অধরাই রয়ে গেছে।
এ অবস্থায় এই বর্ষা মৌসুমে জনদুর্ভোগ মোকাবেলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ইসলাম ফরাজীর উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও স্থানীয়দের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা পুল।
স্বাধীনতা উত্তর গালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুর হোসেন ফরাজীর জেষ্ঠ পুত্র উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা রফিকুল ইসলাম ইলিয়াস ফরাজীর উদ্যোগে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ও গ্ৰামবাসীর শ্রমে ১১৫ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৭ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট এ পুল নির্মাণ শেষে স্থানীয়দের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সরকারি উদ্যোগে কবে বা কখন এখানে পাকা সেতু নির্মাণ হবে তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যেই আছেন জানিয়ে, উপজেলা আ,লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ইলিয়াস ফরাজী বলেন, সেতু নির্মাণে এ অর্থের জোগান দিয়েছে স্থানীয়রা ও উপজেলা প্রশাসন। তিনি আরো বলেন, দিনমজুর থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষ এ সেতু নির্মাণে অর্থের পাশাপাশি শারীরিক শ্রমও দিচ্ছে এ পুল নির্মিত হলে চাড়াখালী ও কৈবর্ত্যখালী সহ আশেপাশের গ্রামগুলোর কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ দূর হবে।পুল নির্মাণ কাজে নিয়োজিত স্থানীয় এক শ্রমিক বলেন ৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে পুল নির্মানে।