ময়মনসিংহ জেলার হাসপাতালগুলোতে জনবল নেই সেবা বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। লোকবল সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। প্রয়োজনীয় টেকনিশিয়ান না থাকায় অনেক হাসপাতালে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিটিস্ক্যান, অক্সিজেন কনসেট্রেটরসহ নানা ধরনের মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও এসব যন্ত্রের প্যাকেট পর্যন্ত খোলা হয়নি। অনেক হাসপাতালে বছরের পর বছর ধরে বন্ধ রয়েছে আইসিইউ, অপারেশন থিয়েটার ও ট্রমা সেন্টারসহ বিভিন্ন বিভাগ। কোথাও অ্যানেস্থেসিস্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অচল পড়ে আছে ভেন্টিলেটর মেশিন।
ফলে করোনাকালে এসব হাসপাতালে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানা যায়,ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালটিতে উন্নত চিকিৎসাসেবার সব ইউনিট থাকলেও নেই প্রয়োজনীয় সিনিয়র চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট। এ হাসপাতালে দুটি এমআরআই মেশিনের মধ্যে একটি নষ্ট, দুটি সিটিস্ক্যান মেশিনের একটি অকেজোপ্রায়। আধুনিক অন্যান্য যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ান, টেকনোলজিস্ট বা প্রয়োজনীয় দক্ষ চিকিৎসক সংকটে বিকাল ৫টার পর এমআরআই, সিটিস্ক্যান ও ইকো মেশিনসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার আধুনিক যন্ত্রপাতি বন্ধ থাকে। গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতিদের অপারেশন থিয়েটারটি দশ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন খান বলেন, অপারেশন থিয়েটার চালু করতে হলে চারজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন।
নান্দাইল উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে অকেজো হয়ে পড়ে আছে এক্স-রে মেশিন। হাসপাতালে জেনারেটর বসানো হলেও সেটিও বর্তমানে নষ্ট। গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম না থাকায় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর যন্ত্রটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এছাড়া সনোলজিস্ট না থাকায় স্টোররুমে প্যাকেটেই পড়ে আছে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন।