October 18, 2024, 4:22 pm
শিরোনাম:
মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিজয়ী মনোহরদীর সন্তান এ্যাড.কাজী হুমায়ুন কবীর

টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা তালা এলজিইডির হিসাব সহকারীরর টেবিলে

তালা সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বুধবার, আগস্ট ১১, ২০২১
  • 302 দেখুন

সাতক্ষীরার তালা এলজিইডি অফিসে রমরমা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। তবে বর্তমানে তা প্রকট আকার ধারন করেছে। ফাইল প্রতি অফিসের হিসাব সহকারী মোস্তাফিজুর রহমানকে দিতে হয় ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে ঠিকাদারদের যেমন নাভিশ্বাস উঠেছে তেমনি ঘুষ বানিজ্যে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে প্রতিবেদনকালে তালা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যলয়ে গিয়ে যায়, অফিসের হিসাব সহকারী মুস্তাফিজুর রহমান যেন ফাইল নিয়ে রীতিমত দরবার খুলে বসেছেন। অবস্থানকালীণ দেখা যায়, স্থানীয় মেসার্স আকবর কনস্ট্রাকশন’র স্বত্ত¡াধিকারী আকবর হোসেন তার কাছে পেমেন্ট সার্টিফিকেট চান। এসময় মুস্তাফিজ তার কাছে ৫ শ’ টাকা উপরি দাবি করেন। তবে আকবর হোসেন তাকে কোনভাবেই টাকা দিতে রাজী নন।
এসময় টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মুস্তাফিজুর রহমান তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাক্বিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঠিকাদারদের মধ্যে শেখ ব্রাদার্স’র স্বত্ত¡াধিকারী আসিব হোসেন শোভন অভিযোগ করে বলেন, ফাইল প্রতি মুস্তাফিজুর রহমান ৫শ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। অর্থাৎ টাকার অংকে ফাইল প্রতি ৫ শতাংশ টাকা দিতে হয় তাকে।

চাহিদামত টাকা দিতে ব্যর্থ হলেই শুরু হয় অসৌজন্য ম‚লক আচরণ। নানা অযুহতে ফাইল আটকে রাখেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারদের একাধিক অভিযোগ করে বলেন, হিসাব সহকারি মুস্তাফিজ ইতোপূর্বে যেসকল এলাকায় কর্মরত ছিলেন, সে সকল এলাকার ঠিকাদারদের এক প্রকার জিম্মি করে নিজের চাহিদা মত নজরানা আদায় করেন তিনি। আর কেউ উৎকোচ বা উপরি দিতে অস্বীকার করলেই চরম ভোগান্তিতে ফেলে দেন তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে এই বানিজ্যের সাথে তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কেউ জড়িত থাকতে পারেন। তা নাহলে একই অফিসে বসে তাদের নাকের ডগায় এভাবে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের সাহস পায় কি করে? এমন প্রশ্ন ভ‚ক্তভোগীদের।
এব্যাপারে অভিযুক্ত হিসাব সহকারি মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগকারীর নিকট জেনে নিন তিনি আমাকে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন। যদি তিনি আমাকে টাকা দিয়ে থাকেন তাহলেই কেবল আমি অপরাধি অন্যথায় তিনি নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রথিন্দ্র নাথ হালদার এ প্রতিবেদককে বলেন, তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রথম শুনলাম। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ ভ‚ক্তভোগী ঠিকাদারদের দাবি, এব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। ##

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102