পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ২নং গোলখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বড়গাবুয়া গ্রামের মৃত সেরাজ হাওলাদারের মেয়ে রেহেনা বেগম(৪০) একটি পরিত্যাক্ত ও অপরিষ্কার ঘরে রাস্তার পার্শে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। সংসার জীবনে ২ ছেলে আর ১ মেয়ে আর অসুস্থ্য স্বামী কিন্তু কোনো সম্পত্তি না থাকায় দেখার কেউ নেই। তাই অসুস্থ্য স্বামীকে নিয়ে একটি বেড়জালের নৌকা বেয়ে জীবন জীবীকা নির্বাহ করছে। তার অসুস্থ্য স্বামীর প্রতিদিন প্রায় ১০০-১৫০ টাকার ঔষধ সেবন করতে হয়, আর এর জোগান দেন তার রেহেনা বেগম। সরেজমিনে দেখা যায়, পরিত্যাক্ত জায়গায় পুরনো কাপড় ও পুরানো ভাঙ্গাচুড়া কাঠের পাটাতনের উপরে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
রেহেনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবা মা না থাকায় এবং স্বামী অসুস্থ্য থাকায় স্বামীর ভিটাটুকু বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসা করি। বিবাহের ২২ বসর বয়সে ২০ বছর ধরেই ২টি ছেলে ১টি মেয়েকে নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাতাম। মানুষের কিছু সাহায্যের টাকা দিয়ে ছোট্ট একটি বেড়জাল করে তাফালবাড়িয়া নদীতে জাল বেয়ে জীবন জীবীকা নির্বাহ করি। ঘর উঠানো তো দুরের কথা দু মুঠ খেয়ে পরে বাচতেই দায়। নিজের জায়গা না থাকায় বড়গাবুয়া খেয়াঘাটের পাশের্^ পরিত্যাক্ত একটি ভাঙ্গা দোকানের ভীতর বর্তমানে কোন রকম জীবন যাপন করছি। সরকারের কাছে জোড় অনুরোধ যাহাতে আমি একটি সরকারী ঘর পাইতে পারি তাহলে আমার পরিবারটি নিয়ে সুন্দর একটি জীবন যাপন করতে পারতাম। এ বিষয়ে রেহেনার অসুস্থ্য স্বামী মিজানুর হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, যে আমি অসুস্থ্য মানুষ আমি মানুষের কাজ করতে পারিনা আমার স্ত্রীর সাথে ছোট্ট একটি নৌকায় বেড় জাল বেয়ে কোন রকমের জীবন যাবন করছি। যদি সরকারী একটি ঘর পেতাম তাহলে আমার পরিবারটি নিয়ে মাথা গোজারমত একটা জায়গা হত। এ বিষয়ে ২নং গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরউদ্দিন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে আমার ইউনিয়নে কোন অসহায় পরিবারই গৃহহীন থাকবে না তাই রেহেনার বিষয়ে আমি দরখাস্তে সুপারিশ দিয়েছি এবং বিষয়টি আমি দেখব।