November 26, 2024, 7:09 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

অভাবে মারুফার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন অনিশ্চয়তার পথে

মোঃ রোকনুজ্জামান টিপু,তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, এপ্রিল ৮, ২০২২
  • 164 দেখুন

অভাব অনটন ছিল মারুফার নিত্যদিনের সঙ্গী। অভাব-অনটনের মধ্যেও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি।সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে অদম্য মেধাবী মারুফার। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তিনিও সুযোগ পেয়েছেন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার। ভর্তির সুযোগ পেলেও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক দুশ্চিন্তা । শিক্ষাজীবনে মেধার জোরে সব বাধা অতিক্রম করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেলেও আবার দেখা দিয়েছে সেই অর্থ সংকট। ভর্তির টাকা কোথায় পাবে,এই চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন দরিদ্র পরিবারের মেয়ে মারুফা। অর্থের অভাবে মারুফার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন অনিশ্চয়তার পথে।

মারুফা খাতুন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জেয়ালা নলতা গ্রামের মৎস্যজীবি মোঃ আজিত বিশ্বাসের মেয়ে। মা তাছলিমা বেগম একজন গৃহীনি। জরাজীর্ণ একটি বাড়িতে তিন কণ্যাসহ পাঁচজনের বসবাস। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আজিত বিশ্বাস। তিন কণ্যা সন্তানের মধ্যে মারুফা সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন মারুফা। তিনি তালার শহীদ আলী আহম্মদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পান এবং তালা মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছেন জিপিএ-৫।পরে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ স্কোর নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু সন্তানের ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড়ে নেমে কূলকিনারা পাচ্ছেন না মারুফার পরিবার।

মারুফা খাতুনের মা তাসলিমা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের কোনো জমিজমা নেই। শুধু ভিটেমাটি আছে। স্বামী নদীতে মাছ ধরে যা আয় করেন, তা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চলে। মেয়ে ডাক্তারি পড়ার চান্স পেয়েছে। শুনেছি ডাক্তারি পড়তে অনেক টাকা লাগে। মেয়েটা ভর্তি হতে পারবে কি না জানি না। সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা ছাড়া আমার মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পুরন হবে না। তবে অনেকেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি
মারুফার বাবা আজিত বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে বলেন, নদীতে মাছ ধরে পাঁচ সদস্যের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। যেখানে সংসার চালানোর খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে মেয়ের ডাক্তারি পড়ার খরচ চালানো আমার জন্য দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। এ মুহূর্তে মেয়ের ভর্তি খরচ, বই-খাতাসহ সাতক্ষীরায় স্থানান্তরের জন্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে মেয়েকে ভর্তি করাতে পারব কিনা জানি না।তবুও তার স্বপ্ন মেয়ে ডাক্তার হয়ে গরীব আসহায় মানুষের সেবা করুক।

মারুফা এ প্রতিবেদককে জানান, নিত্য অভাবের সংসারে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। ডাক্তার হয়ে অসহায়, গরীব ও দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা সেবা করার।তাই স্বপ্ন পূরণের জন্য বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেছেন পড়া শোনায়। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের এত কাছে এসেও অর্থের অভাবে তার স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে তা মেনে নিতে পারছে না অদ্যম মেধাবী মারুফা।তাই তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারী, বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিত্তবান মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।তাকে অর্থিক ভাবে সাহায্য করতে চাইলে পিতা আজিত বিশ্বাসের এই ০১৩০০৬৩২৯৫৮ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102