হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে স্যোসাল অডিট শুরু হয়েছে। “পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রকল্প”-এর আওতায় রবিবার (১৮ডিসেম্বর) উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে এ সামাজিক নিরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করে উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর্থিক ও ক্রিশ্চিয়ান এইড’র কারিগরি সহযোগিতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ইতিপূর্বে উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটির ২৫ জন সদস্যদের ৩ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ওয়েভ ফাউন্ডেশন।
রবিবার স্যোসাল অডিট পরিচালনাকালে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেন বানিয়াচং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। স্যোসাল অডিটরদের মধ্যে ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটির চেয়ারপার্সন ও বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হোসেন খান, উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি ও বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মখলিছ মিয়া, উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটির সদস্য ও বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ জুবায়ের জসিম, উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটির সদস্য ও বানিয়াচং প্রেসক্লাবের ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক রিতেষ কুমার বৈষ্ণব।
স্যোসাল অডিটকালে সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বানিয়াচং উপজেলায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যার তুলনায় ভাতার বরাদ্দ কম। তাই ভাতার বরাদ্দ বাড়াতে হবে। হিজরাভাতার ক্ষেত্রে সরকার বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেয়ায় বানিয়াচং উপজেলায় এখনও হিজরাভাতা চালু করা সম্ভব হয়নি।
নীতিমালা অনুযায়ী ৫০ বছরের কম বয়সী হিজরাদের ভাতা দেয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু বানিয়াচং উপজেলায় যেসব হিজরাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের বয়স ৫০ বছরের নিচে।
তাই হিজরাভাতার ক্ষেত্রে বয়সসীমা কমিয়ে আনা দরকার। উল্লেখ্য,পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারি দপ্তর, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপকারভোগীদের মাঝে গিয়ে স্যোসাল অডিট সম্পন্ন করবে এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি।