ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বেড়েছে বিষমুক্ত সবজি চাষ। উপজেলার প্রায় ২০ একর জমিতে পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্প’র আওতায় জৈব বালাইনাশক পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। বুধবার সরজমিন ঘুরে দেখা যায় ফুলকপি, বাঁধা কপি, টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমোর, বেগুনসহ বিভিন্ন ধরণের শীতকালীন সবজির চাষে ভালো ফলন এসেছে। উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি এ উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সবজি চাষে রোগ-বালাই ও পোকা-মাকড় দমনে কৃষকরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে। সবজিতে এসব কীটনাশকের প্রভাব ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত থাকে। এ সময়ের মধ্যে এসব সবজি মানুষ খেলে এর ক্ষতিকর প্রভাব মানব দেহে বিস্তার করার আশংকা থেকে যায়। অনেক কৃষক না বুঝেই এ সময়ের মধ্যে সবজি বাজারে বিক্রি করে। তাই এসব ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বড়হিত ইউনিয়নের কৃষক হোসেন আলী পাঠান,আবু হানিফ ও মোজাম্মেল হক জানান, তারা আগে সবজি চাষে কীটনাশক ব্যবহার করতেন। কিন্তু এবছর কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় টমেটো ও ফুল কপি চাষ করেছেন। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এবার সবজি চাষ করায় ক্ষেতে রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রোমণ খুবই কম দেখা দিয়েছে। যার ফলে তারা লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বড়হিত ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান,এই কৃষকদের সবজি বিষ মুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে চাহিদা অনেক বেশি। বাজারে অন্য সবজির চেয়ে এটির দামও ভালো পাবে আশাকরি। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান বলেন, নিরাপদ সব্জি উৎপাদনের জন্য আমরা কৃষক দের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি। পরিবেশ বান্ধব হলুদ ট্র্যাপ, ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার, জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে কৃষক দের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। সুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরিতে বিষমুক্ত নিরাপদ ফসল উৎপাদন জরুরি।