ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দুই ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন জনপ্রতিনিধিগন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর জেলা পরিষদের ডাকবাংলো থেকে মিছিল নিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন তাঁরা। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে হামলার শিকার হন ওয়ার্ড সদস্য আবুল বাশার।
১০-১৫ জনের একটি দল তাঁর ওপর হামলা চালায়। এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি উচাখিলা ইউপির সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য রোকসানা আক্তারকে মারধরের অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যান সেলিমের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যান সেলিম পরিষদে নিজের কক্ষে সেদিন বৈঠকে বসেন। সেখানে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে নারী ইউপি সদস্য রোকসানাকে চুলের মুঠি ধরে টানাহেঁচড়া করে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারেন ও জুতাপেটা করেন। এ নিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা করা হয়।
তবে আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। নারী ইউপি সদস্যের পক্ষ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলায় আরেক ইউপি সদস্য আবুল বাশারকে শায়েস্তা করতে বুধবার হামলা করা হয় বলে অভিযোগ সেলিম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন সেলিম চেয়ারম্যান। ইউপি সদস্য আবুল বাশারের ওপর হামলার ঘটনায় সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে একত্র হন ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নারী-পুরুষ সদস্যরা। ১ শ,২০ জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্যের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বৈঠক করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অপর দিকে ইউপি সদস্য আবুল বাশারের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে উচাখিলা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। স্থানীয়দের ব্যানারে এতে অংশ নেয় ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত একাধিক ইউপি সদস্য জানান, হামলার শিকার ইউপি সদস্য আবুল বাশার বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নারী ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিত করার পর তাঁর পক্ষ নেওয়ায় আবুল বাশারের ওপর হামলা চালানো হয় বলে দাবি তাঁদের। তাঁরা বলেন, আবুল বাশারের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার না হলে আগামী রোববার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এদিকে ইউপি সদস্য আবুল বাশারের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম। সেলিম বলেন,আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পি এস এম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন,ইউপি সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।