ময়মনসিংহ নগরীর ব্রাহ্মপল্লীতে চিকিৎসকের গাফিলতিসহ ভুল চিকিৎসায় যমজ-বাচ্চা সহ গৃহবধূ রেখা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় টনক নড়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনের।
শনিবার সকালে ময়মনসিংহের জেলা সিভিল সার্জন ডা.নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম নগরীর ব্রাহ্মপল্লী এলাকার ব্যবসায়ী রফিকের মালিকানাধীন পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতা’ সিলগালা করে দিয়েছেন। সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন,হাসপাতালটির কোন অনুমোদন ছিল না। যমজ-বাচ্চা সহ গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকের কার্যালয়ের উপ পরিচালক ডা.আব্দুল কদ্দুছকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও শনিবার আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ময়মনসিংহের ডেপুটি সিভিল সার্জন।
পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালের মালিক ও চিকিৎসকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন গৃহবধূ রেখার স্বামী মাহবুব আলম। পুলিশ হাসপাতাল মালিক রফিক ও অমিতসহ দায়ী চিকিৎসক আশরাফুল হক মোল্লা ও এনেসথেসিওলজিস্ট ডা. আরিফ রব্বানী এবং দুই দালাল মেহেদী ও তারেক মিয়াকে খুজঁছে।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ নগরীর ব্রাহ্মপল্লী এলাকার বেসরকারি পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসায় ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের ১৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্বা গৃহবধূ রেখা আক্তার ও তার দুই জমজ শিশু মারা যায় শুক্রবার ভোরে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কিডনীর পাথর অপারেশনের সময় গৃহবধূ রেখা আক্তার এই ভুল চিকিৎসার শিকার হন বলে স্বজনদের অভিযোগ।
জানা যায়, হাসপাতালটির কোন অনুমোদন ছিল না। ময়মনসিংহ নগরীতে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই চলছে এরকম অসংখ্য বেসরকারি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক, ল্যাব এর অবৈধ ব্যবসা।