নরসিংদীর মনোহরদীতে অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোর দ্বায়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, দুইজনকে কারাদণ্ড এবং ফসলি জমি ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তীর হতে বিধিবহির্ভূতভাবে মাটি কাটার দ্বায়ে আরও দুইজনকে কারাদণ্ড প্রদান এবং এক্সক্যাভেটর আটক করা হয়েছে।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মারুফ দস্তেগীর এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এই অর্থদণ্ড প্রদান ও এক্সক্যাভেটর আটক করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খানের নির্দেশক্রমে গত ২৩ জানুয়ারি উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের গৌরীভাঙ্গা নামক স্থানে লাইসেন্স ব্যতিরেকে অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোর অভিযোগে কাচিকাটা ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারার্স নামক ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করায় ভাটা কর্তৃপক্ষকে ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এবং ইটভাটার ম্যানেজার অরুন চক্রবর্তীকে ০৫ দিনের ও ভাটার কর্মচারী আব্দুল্লাহকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিধিবহির্ভূতভাবে মনোহরদীর হাতিরদিয়া বাজার সংলগ্ন নামকস্থানে ব্রহ্মপুত্র নদীর মাটি অপসারণের অভিযোগে গত সোমবার ঘটনাস্থল থেকে একটি এক্সক্যাভেটর আটক করেন।
একই দিনে ফসলি জমি হতে মাটি কাটার অপরাধে বড়চাপা গ্রামের মোক্তার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন মোবারক নামে দুইজনকে ২দিন করে পৃথকভাবে কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়াও শিবপুর মানিকদি গ্রামের মোহাম্মদ আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়ন থেকে আরও একটি এক্সক্যাভেটর আটক করা হয়।
মনোহরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মারুফ দস্তেগীর জানান, উপজেলার কাচিকাটা ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারার্স নামক ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভাটা কর্তৃপক্ষকে ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান ও দুজনকে ৫ দিন ও ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদীর মাটি অপসারণ সংশ্লিষ্ট এলাকায় উপস্থিত জনগণের সাথে আলোচনাক্রমে অভিযোগের বিষয়ে অবগত হন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখতে পান, নদীর তলদেশে মাটি ভরাট করে কৃষিকাজ চলমান রয়েছে। একই এলাকার অনত্র নদী খননের মাটি দিয়ে অনেকেই নদী ও নদীর তীর দখল করে বিভিন্ন প্রকারের শস্য, কলাবাগান ও কাঠের বাগান সৃজন করেছেন।
এরই প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নদী সংরক্ষণের নিমিত্ত নদীর স্থায়ী সীমানা নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এসময় মাটি কাটায় ব্যবহৃত একটি এক্সক্যাভেটর আটক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খান জানান, অবৈধ ইট ভাটা যাতে চালাতে না পারে ও সরকারী জমি, কৃষি জমিসহ নদী রক্ষায় প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। একইসাথে পরিবেশ ও কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।