দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম।
নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের সংসদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদি। তাকে ফাঁসাতে চন্দনবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর গুলির নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সম্প্রতি যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলামের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তারপর থেকে গুলির নাটকের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এলাকায়।
এই মিথ্যা নাটক সাজানোর প্রতিবাদে কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমএস ইকবাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক তৌহিদ সরকার, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান রুপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান তামান্না প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কাজী মাজহারুল ইসলাম যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
তিনি নৌকাকে পরাজিত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। নির্বাচনের আগের রাতে নৌকাকে হারানোর কৌশল হিসেবে শিল্পমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে গুলির নাটক সাজিয়ে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্ঠা করেছে। যার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আমরা এমন ঘৃণ্য কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা কেন্দ্রীয় যুবলীগের কাছে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তাকে মনোহরদীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।