বান্দরবান প্রতিনিধিঃ
ভিটা-বাড়ি নিজেদের নামে লিখে নিতে শিকল দিয়ে হাত পা বেঁধে এক বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের তাঁতী পাড়া গ্রামে।
নিজের মেয়ে ও জামাতার হাতে নির্যাতিত এই হতভাগ্য বৃদ্ধের নাম মোঃ নুরুন্নবী(৬৫)। জানা গেছে, নুরুন্নবী এক সময় সৌদিআরব প্রবাসী ছিলেন। পারিবারিকভাবে বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রী গুল ছেহের বেগমের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী গুল ছেহের বেগম, মেয়ে নাছিমা ও তার স্বামী ফেরদৌস ওরফে খোকন এক সপ্তাহ ধরে নুরুন্নবীকে শিকল দিয়ে হাত, পা বেঁধে ঘরে আটকে রাখেন।
এমনকি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার প্রয়োজন হলেও ঘর থেকে বের হতে দেয়নি। মা-মেয়ে, মেয়ের জামাই মিলে বাড়ি ভিটে তাদের নামে লিখে দিতে চাপ দেন। বৃদ্ধ রাজি না হলে বেধড়ক মারধর করেন। কিছুদিন পরপর এভাবে তাকে শিকল দিয়ে হাত পা বেঁধে মারধর করেন। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার শালিস বিচার করলেও কিছুদিন পর নুরুনবীর ওপর আবার নির্যাতন চলতে থাকে।
স্হানীয়দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রতিবেধককে জানান, বৃদ্ধের বাড়ি ভিটে মেয়ের জামাই খোকন নিজেদের নামে লিখে দিতে চাপ দেন অসহায় নুরুন্নবীকে। নির্যাতিত বৃদ্ধ নুরুন্নবী সাংবাদিকদের জানান, আমার বাড়ি ভিটা তাদের নামে লিখে দেয়ার জন্য আমাকে ৩ থেকে ৪ মাস ধরে নির্যাতন করে আসছে । আমি বাঁচতে চাই। প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দীন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বৃদ্ধকে নির্যাতনের সত্যতা প্রমান হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়ভাবে শালিস হয়েছে।
নুরুন্নবীকে নির্যাতনের কারণে মেয়ের জামাই খোকনসহ তাদেরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। থানায় যোগাযোগ করা হলে লোহাগাড়া ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, এখনো ভুক্তভোগীর কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।