রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বাগানের মালিকের বিরুদ্ধে মাল্টা চুরির অভিযোগে তিন শিশুকে গাছের সাথে বেধে জুতাপেটা করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকালে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চামি গ্রামে ওই তিন শিশুকে গাছের সাথে বেধে নির্যাতনের অমানবিক
এ ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতনকারী মাল্টা বাগানের মালিক ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার মিয়া (৬০)। নির্যাতনের শিকার শিশুরা হলো ওই গ্রামের আইনুলের ছেলে স্বাধীন,আলা উদ্দিনের ছেলে তাওহীদ ও শাহিনের ছেলে নাহিদ।
তাদের প্রত্যেকের বয়স ১২ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে এবং তারা ৪র্থ শ্রেণীতে
লেখাপড়ার পাশাপাশি তিন জনেই স্থানীয় একটি মুরগীর ফার্মে কাজ করে । ওই তিন
শিশু শনিবার সকালে জব্বার মিয়ার বাগান থেকে ৯টি মাল্টা চুরি করে।
এসময় বাগান মালিকের ছেলে তাদের ধরে কয়েকটি চড় থাপ্পর দিয়ে তার বাবা জব্বার
মিয়াকে খবর দেয়। পরে জব্বার মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিন শিশুকে মারধর করে
নিজ বাড়িতে নিয়ে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেধে বেধরক জুতা পেটা করে। যার
চিত্র মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা।
এর পর পরই বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এদিকে মাল্টা
বাগানের মালিক আ. জব্বার মিয়া বলেন, ‘আমি তিন বছর যাবত মাল্টা বাগান করে
আসছি। গাছে মাল্টা ফলাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।
কিন্তু শনিবার সকালে ওই তিন শিশু বাগানে প্রবেশ করে দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল মাল্টা চুরি করে।তাই রাগের বর্শবর্তী তাদের ধরে গাছের সাথে বেধে জুতা পেটা করেছি। এর বেশি
কিছু নয়! এদিকে নির্যাতনের শিকার ওই তিন শিশুর পরিবারই গরীব ও অসহায়
হওয়ায় প্রভাবশালী বাগান মালিকের সঙ্গে পেরে উঠবেন না বিধায় ভয়ে তারা
আইনের আশ্রয় নিচ্ছে না বলে জানা গেছে।