রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ
এক পশলা বৃষ্টি হলেই হাটু পানি
জমে বানারীপাড়া পৌর শহর ‘খালে’ রূপান্তরিত হয়ে পড়ে। অনেক সড়ক মনে হয় যেন
একেকটি খাল। পৌর এলাকার শতাধিক পুকুর ও ১৪ টি সরকারী খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায়
পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
প্রতিটি সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা,সরু করে ও নি¤œমানের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ নির্মাণ,ডাষ্টবিন না থাকায় ময়লা আর্বজনা ফেলে ড্রেন আটকে ফেলা,একের পর এক পুকুর,ডোবা ও সরকারী খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ সহ নানা কারনে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে চরম জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
এক পশলা বৃষ্টি হলেই বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাইপাস সড়ক,বন্দর বাজারের ময়দার মিল থেকে দক্ষিণ নাজিরপুর সড়ক,বন্দর বাজারের রিক্সা ষ্ট্যান্ড থেকে স্বর্নকার পট্টি হয়ে থানার সামনের সড়ক,১ নং ওয়ার্ডে উত্তরপাড় বাজারে কাঠের গোলার
পাশের সড়ক,৪ নং ওয়ার্ডে বন্দর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বানারীপাড়া ইউনিয়ন ইনষ্টিটিউশন (পাইলট) স্কুলের মোড় পর্যন্ত হাটু পানি জমে যায়।
ফলে এসব সড়ক দিয়ে পৌরবাসীকে চরম দূর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হয়।
এছাড়াও পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে প্রায় প্রতিটি বাড়ির বাগানেই আবার কোন কোন
বাড়ির উঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে মনে হয় যেন দ্বীপের মাঝে একেকটি
বাড়ি।
এদিকে প্রতি বছর বৃষ্টির মধ্যে বানারীপাড়া ইউনিয়ন ইনষ্টিটিউশন(পাইলট) স্কুলের পশ্চিম পাশের সড়ক ও মাঠে জাল নিয়ে মাছ শিকারের দৃশ্য দেখা যায়।
অপরদিকে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ডাষ্টবিন না থাকায় খাল সহ যত্রতত্র ফেলে রাখায় পরিবেশ মারাত্মকভাবে দুষিত হচ্ছে। পৌর এলাকার বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে ময়লা আবর্জনার পুতিদুর্গন্ধ। এ আর্বজনা থেকে মশার উৎপত্তি হয়ে ১২ মাস মশার উৎপাত সহ্য করতে হয় পৌরবাসীকে।
এছাড়া পৌর শহরের ১,২,৪,৫,৬,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন
ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত না করে
ঠিকাদাররা মাসের পর মাস ফেলে রাখায় পৌরবাসীর দূর্ভোগের অন্ত নেই।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল জানান বৃষ্টি হওয়ার পরে দু’একটি সড়কে কিছু
সময়ের জন্য জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও তা বেশি সময় স্থায়ী থাকেনা।
পৌরসভার
প্রকৌশলী আবুল কাসেম অবসরে যাওয়ায় এবং প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের
কারণে উন্নয়ণ কাজ চলমান রাখতে না পারায় পৌরবাসীকে সাময়িক দূর্ভোগ পোহাতে
হচ্ছে তবে আগামী এক মাসের মধ্যে এ সমস্যার ইতিবাচক সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি
বেদখল হয়ে যাওয়া সবগুলো খাল পুনরুদ্ধারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে
বলে জানিয়ে বলেন এ ব্যপারে ইতোমধ্যে কমিটিও গঠন করা হয়েছে এবং উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ও পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বেদখলীয় খাল উদ্ধারের
পর খনন করে পূর্বের রূপে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।