তাপস কর,ময়মনসিংহ থেকেঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের এনায়েত নগর গ্রামের ছেলে জাহিদ আহসান বাঁধন (২০)। জেলা ফুটবল থেকে ক্যারিয়ার শুরু তার। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনূর্ধ্ব-১৮ দলে ও সিটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি।
স্বপ্ন জাতীয় দলের হয়ে মাঠ মাতানোর। মায়ের দুই কিডনিই অকেজো হয়ে পড়ায় স্বপ্ন ভঙ্গের পথে বাঁধনের। অপেক্ষায় আছেন মায়ের সুস্থ হওয়ার। ইতোমধ্যে বাঁধনের মায়ের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্জ ঈশ্বরগঞ্জসহ অনেকেই।
বেশ কিছুদিন যাবত ফেসবুকে মাকে বাঁচাতে আকুতি জানিয়ে আসছিলেন ফুটবল তারকা জাহিদ আহসান বাঁধন। ইতোমধ্যে ‘মাকে বাঁচানোর আকুতি তারকা ফুটবলারের’ শিরোনামে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রকাশিত হয় জাতীয় এবং অনলাইন পত্রিকায়। সংবাদগুলো নজরে আসে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের।
তরুণ এই ফুটবলারের মায়ের জন্য এগিয়ে এলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা প্রদান করেছেন প্রতিমন্ত্রী। সচিবালয়ে উদীয়মান এই ফুটবলারের হাতে চেক তুলে দেন জাহিদ আহসান রাসেল। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় অসহায় দুস্হ ক্রীড়াবিদ ও তাদের পরিবারের পাশে আছি।
এদিকে বাঁধনের মায়ের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাঁড়িয়ে দিয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন উপজেলা পরিষদের অফিস কক্ষে বাঁধনের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি। অপরদিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ বাঁধনের মায়ের চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ সহযোগীতা করেছেন।
এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু বাঁধনের মায়ের চিকিৎসার জন্য সহযোগীতার হাত বাঁড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, চোখের সামনে যখন একজন কিশোর তার মায়ের চিকিৎসার টাকা দিতে না পারে, এর থেকে বড় অসহায়ত্ব একজন সন্তানের কাছে আর কিছুই হতে পারে না।
ফুটবলার বাঁধন জানায়, তার মায়ের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্জ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবুসহ অনেকেই। সে আরও জানায়, তার মা বর্তমানে গাজীপুরের চৌরাস্তায় কেয়ারহোম ডায়ালাইসিস সেন্টারের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন তার। তার মায়ের কিডনি পতিস্থাপনের জন্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা লাগবে বলে জানায় সে। তাই যার যার অবস্থান থেকে যার যার সাধ্যমত সকলের কাছে সহযোগিতা চায় বাঁধন।