নরসিংদী মনোহরদীর আব্দুল খালেক ভুঁইয়া সমাজসেবা ও চিকিৎসায় বিশেষ অবদান রাখায় পেয়েছেন দু’টি সম্মাননা পদক। স্বপ্নকুঁড়ি ফাউন্ডেশন হতে পেয়েছেন এম.এজি ওসমানী সম্মাননা পদক ও মানবাধিকার জোট হতে পেলেন স্বাধীনতা স্মৃতি সম্মাননা পদক। মানবতার ফেরিওয়ালা আব্দুল খালেক ভূঁইয়া বিশিষ্ট সংগঠক, সমাজ সেবক ও ভূঁইয়া ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক।
মানবকল্যাণ মূলক বিভিন্ন কাজ ও দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর কর্মহীন হতদরিদ্রদের পাশে থেকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন আব্দুল খালেক ভূঁইয়া। এলাকায় সেবামুলক বিভিন্ন কাজের জন্য তিনি সর্বজন প্রিয় ও সমাদৃত। তিনি বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক বেশকয়টি সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে দেশ ও মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সবসময়।
ঢাকাস্থ মনোহরদী যুব কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি ও যুগ্নসাধারণ সম্পাদক হিসেবে বাংলাদেশ ইয়ৎ ফ্রন্ট, রাজস্বী সংগীত একাডেমী ঢাকা, রংধনু ললিতকলা একাডেমী ঢাকা, নরসিংদী জেলা ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ একাডেমী মিরপুর ঢাকা, প্রকল্প সম্পাদক মনোহরদী মৈত্রী সংস্থা ঢাকা, মনোহরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সদস্য জাতীয় মুকুল ফোজ মিরপুর ঢাকার সাথে যুক্ত থেকে বিভিন্ন মানবকল্যাণ কাজে অংশ নেন।
এছাড়াও তিনি গ্রামীণ দর্পণ পত্রিকার কার্যকরী পরিষদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানা শাখার বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সহ সভাপতি ও মনোহরদী রিপোর্টার্স ক্লাবের উপদেষ্টা। আব্দুল খালেক ভুঁইয়ার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে ডাক্তার মো. ওয়াহিদুল হাসান ভূঁইয়া সজিব ও পুত্রবধু ডাক্তার শানজিদা মাহমুদ ঈশিতা মানিকগন্জে কর্মরত। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এম ফিল এ অধ্যয়নরত আদরের কণ্যা সন্তান।
সে জাতীয় পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সুনামের সাথে কুঁড়িয়েছেন বহু পুরস্কার। স্ত্রী নারগিস ভূঁইয়া একজন সাংস্কৃতিক মনা ব্যাক্তিত্ব। তিনি রাশেদা খাতুন কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। আব্দুল খালেক ভূঁইয়া জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এর নির্দেশনায় তিনি এলাকার কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খাদ্য ও করোনা সামগ্রী এবং নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন।
উপজেলার কয়েকজন সংবাদকর্মীর তথ্য মতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে হতদরিদ্র ও কর্মহীন এবং বিপদগ্রস্তদের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি। উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় এবং শুকুন্দী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রের জমিদাতা তিনি ও তাঁর পরিবার।
প্রয়াত পিতা আব্দুল গফুর ভূঁইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ও পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং শুকুন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তাঁর জীবনে সবমসময় দরিদ্র অসহায়দের পাশে থেকেছেন। বাবার আদর্শ অনুসরণ করে তিনিও তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন অবিরত।
তিনি দোয়া প্রার্থনা করেন সকলের নিকট যাতে সুস্থ থেকে জীবনের বাকি সময়টুকু মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখে মানুষের উপকার করে যেতে পারেন। তিনি কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে চান সকলের হৃদয়ে।