গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার বেশ কিছু রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।গাইবান্ধা-সাঘাটা
আঞ্চলিক সড়কের উল্যা, ভরতখালী এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে । এই সড়কের ১০টি পয়েন্ট
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বালুর বস্তা দিয়ে বন্যার পানি ঠেকানোর
চেষ্টা করছে স্থানীয়রা। হুমকিতে রয়েছে কয়েকটি সুইচগেট। যেকোনো
সময় ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যায়।
বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে পানিবন্দী পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। ফলে ওইসব
মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার ও জ্বালানির অভাবে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকার অনেকে ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে গরু-ছাগল
নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে বাঁধে ও উঁচু স্থানে আশ্রিত গবাদি পশুরও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
ফুলছড়ি পানি বৃদ্ধিতে তীব্র আকার ধারণ করছে নদী ভাঙ্গন। হুমকির মুখে সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। ব্রহ্মপুত্র,ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধির অব্যাহত রয়েছে।এ পানি বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম ভোগান্তিতে অন্যদিকে তেমনি নদী ভাঙনে বাপ-দাদার ভিটা মাটি নদীতে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে নদ তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ।