জেলায় যমুনা নদীর পানি কমতে থাকলেও ব্রক্ষপুত্র,ঝিনাই,সুবর্ণখালী,জিঞ্জিরাম,দশআনী নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।কিছু কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও জেলায় ভয়াবহ অবনতি। আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়ক সহ রেললাইন পানিতে ডুবে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।পানিতে তলিয়ে আছে গ্রামীণ হাট-বাজার,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে নয় হাজার হেক্টর ফসলের জমি,গো চারন ভুমি,বসতবাড়ি।দূর্গত এলাকায় ত্রাণের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। গো খাদ্যের অভাবে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানায়,জেলার ৮৫ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৭ হাজার বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।ইতোমধ্যে ১৫ হাজার বসতঘর পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে।৬৭৭ টি গ্রামের প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার পরিবার পানিতে নিমজ্জিত।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন কোন বরাদ্দ না দিলেও এখন পর্যন্ত ৭৮৪ মেট্রিকটন চাল,নগদ ১৯ লাখ টাকা ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।বন্যার্তদের খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ৩৩৩ নাম্বার হট লাইন চালু করেছেন।