ঈদের দিনে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সীমান্তে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই দেশই পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
আফগানিস্তান জানায়, ঈদ উল আজহা উপলক্ষে লোকজন সীমান্ত পারাপারের জন্য ক্রসিংয়ে ভিড় করেছিল। তাদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর ছোড়া গোলায় ১৫ আফগান নিহত হয়েছে। খবর: রয়টার্স।
তবে পাকিস্তান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তানই ভিড় করা জনতার ওপর গুলি ছুড়েছে। পাকিস্তানি সেনারা কেবল স্থানীয় লোকজনের সুরক্ষায় এবং আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছে। আরো ৩১ জন আহত হয়েছে।
পাকিস্তানের সীমান্ত শহর চমন এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তানে ঢোকার অপেক্ষায় থাকা লোকজন অধৈর্য্য হয়ে পাকিস্তানের স্থাপনাগুলোতে হামলে পড়লে সহিংসতার সূত্রপাত হয়।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে শহরের সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার সেটি কিছু সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার আবারও ক্রসিং খোলার কথা থাকলেও সেটি না খোলায় লোকজন বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষুব্ধ লোকজন সেখানকার একটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার এবং সরকারি স্থাপনায় আগুন দেয় বলে জানান চমন শহরের ওই কর্মকর্তা।
বিক্ষোভকারীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফোনে জানিয়েছে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীই জনতার ওপর প্রথম গুলি ছুড়েছে।