এক বাড়ির ছাগল আরেক বাড়ির আঙিনায় যাওয়ায় লাঠির আঘাতে ভেঙে ফেলা হয় ছাগলের পা। এনিয়ে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাঁধে সংঘর্ষ। সংঘর্ষে ধারালো দায়ের কোপে নিহত হন মনিরুজ্জামান (৪০) নামে এক যুবক। এসময় গুরুতর আহত হন নিহতের বাবাসহ ওই পরিবারের তিন সদস্য।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (৯ই আগস্ট) দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালের পৌরশহরের নওধার গ্রামের লেকেরপাড় নামক এলাকায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পৌরশহরের নওধার গ্রামের লেকেরপাড় নামক এলাকার রইছ উদ্দিন মাষ্টারের একটি ছাগল ছানা পাশের বাড়ির আনোয়ার হোসেন আনুদের আঙিনায় যায়। এসময় লাঠির আঘাতে পা ভেঙে ফেলে আনুর স্ত্রী। ছাগলের পা ভাঙার ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে বাগবিতান্ডার এক পর্যায়ে বাঁধে সংঘর্ষ।
সংঘর্ষকালে আনোয়ার হোসেনের ছেলে এনামুল, আরিফুল, শরিফুল, আশরাফুল ও কাউছারসহ অন্যরা রামদাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপায়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন রইছ উদ্দিন মাস্টার, তার ছেলে মনিরুজ্জামান, মাসুদুজ্জামান বাচ্চু ও মেয়ে নার্গিস আক্তার।
পরে প্রতিবেশী ও স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
দুপুর দেড়টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। মনিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। অপর আহতদের মধ্যে রইছ উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
এ ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় নিহতের ভাই মাসুম বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পূর্বে আনোয়ার হোসেন, তার ছেলে এনামুল, আরিফুল, শরিফুল, আশরাফুল ও কাউছারকে আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
এদের মধ্যে আশরাফুল ও কাউছার পুলিশি প্রহরায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, তুচ্ছ ঘটনায় মনিরুজ্জামান খুনের ঘটনায় জড়িত ছয় জনকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।