৩টি প্রকল্পের আওতায় ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরের খরখরিয়া নদী খনন করা হয়েছে। উপজেলার পশ্চিমপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির ৫৭ কিলোমিটার পূন: খনন ও পলি অপসারণ করা হলেও কোন সুফল মিলছে না বলে অভিযোগ এলাকার অধিকাংশ মানুষের।
এক বছর না যেতেই বেশ কিছু অংশে নাব্য সংকটে পড়েছে নদীটি। ইতোমধ্যে কুন্দল পূর্বপাড়া এলাকার পাড় ভেঙ্গে শহর রক্ষা বাঁধের ৪০ ফুট নদীতে বিলিন হয়ে গেছে বিস্তির্ণ এলাকা। এতে করে পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার খানেক পরিবার।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বসুনিয়া পাড়ার কাঙ্গালপাড়া ব্রীজ থেকে ইকু জুট মিল পর্যন্ত বেশ কিছু অংশে বেড়েছে নাব্যতা নদী খননের ফলে। এতে করে ভারী বর্ষা এবং উজান থেকে নেমে আসা পানি নদী ধরে রাখতে না পারায় ওইসব এলাকার পাড় ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে.
। কাঙ্গালপাড়ার মিজানুর রহমান বলেন, খনন করে যেন-তেনভাবে রাখা নদীর দুইপাড়ের মাটি বর্ষায় ধুয়ে আবার নদীতে গিয়ে পড়ছে। এতে করে নদী আগের অবস্থাতেই ফিরে গেছে। একই এলাকার আল-আমিন নামের অপর এক যুবক বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নদী পূন:খননের কাজ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কে বুঝিয়ে দিতে না দিতেই কাঙ্গালপাড়া ব্রীজের দক্ষিনপাশে বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে।
মাত্র আর ১৫ থেকে ২০ মিটার অংশ ভাঙ্গলেই একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ এলাকার বেশ কিছু বাড়ি-ঘর নদীতে বিলিন হয়ে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর অফিস সূত্রে জানা যায়, নদীটির সৈয়দপুর উপজেলার অংশে ১০ কোটি ২১ লাখ টাকার কার্যাদেশে ১৮ থেকে ৩৫ এবং ৫৫ থেকে ৭৫ মোট ৩৭ কি.মি খনন কাজ করে রংপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
প্রথম দফায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ শুরু করে একই বছর ৩১ মে প্যাকেজের কাজটি সম্পন্ন করে। দ্বিতীয় দফায় ২০১৯ সালের ১০ মার্চ কাজ শুরু করে তা শেষ করে চলতি বছরের ৩১ মে। অন্যদিকে নওগাঁর একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার কার্যাদেশে ৩৫ থেকে ৫৬ মোট ২০ কি.মি খননের কাজ পায়।
প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের ৪ মার্চ কাজ শুরু করে নির্ধারিত সময়ের আগেই ৩১ মে কাজটি শেষ করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার বলেন, দীর্ঘদিন পর নদীটি খনন কাজ করায় এর সুফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
এছাড়া এ বছর অসময়ে ভারী এবং অতি বৃষ্টিপাতের কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।