লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারি ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান (হবি) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রহিমা নাম তার স্ত্রী। তিনি বলেন গত ৪৬ বছর আগে তাঁর সঙ্গে হাবিবুর রহমান হবির (৭৫)বিয়ে হয়। তাঁর ঔরষে আমার ১ ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম হয়।
এরমধ্যে ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রধান (৪৪) অত্র ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি উল্লেখ করেন হাবিবুর রহমান হবি একজন লম্পট, দুশ্চরিত্র ও পর নারী লোভী। আমাকে বিবাহ করিয়া তাহার সংসারে নিয়ে আসার পর আমার মতের বিরুদ্ধে আরও ৭ টি বিবাহ করে।
তাহাদের মধ্যে ০৩ জন স্ত্রীকে ইতিপুর্বেই ডিভাের্স প্রদান করে এবং ০১জন স্ত্রী মৃত্যু বরন করেন। অপর ০৩ জন স্ত্রী বর্তমান আছে এবং তাহাদেরকে বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন বাড়িতে রাখিয়া ভরন পােষন বহন করিয়া আসিতেছে। আমার স্বামী হাবিবুর রহমান ধারাবাহিক ভাবে বিবাহ করার সময় আমি তাহাকে বাধা প্রদান করিলে তিনি আমাকে সাংসারিক ছােট খাটো বিষয়াদি লইয়া বিভিন্ন সময় আমার উপর শারীরিক মার-ডাং ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করিয়া আসিতেছিল।
সম্প্রতি দেখা সাক্ষাত ও মােবাইল ফোনে কথা বার্তার মাধ্যমে মােছাঃ সামছুন্নাহার মিনি (২৭), পিতা- মৃতঃ আব্দুল গনি, সাং-উফারমারা (প্রধান পাড়া), থানা- পাটগ্রাম, জেলা- লালমনিরহাট-এর সহিত পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে তােলে। হাবিবুর রহমান সামছুন্নাহারকে ০৯ ম স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করার পায়তারা করিয়া আসিতেছে। এবং সামাজিকভাবে আমাদের পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।
আমার স্বামীর এমন ঘৃণ্য কান্ডের সমাজ আমাদের পরিবারকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়াছে। আমরা সকলে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে কোনভাবেই ভালো পথে আসছে না।আমার পরিবার সহ আমার স্বামীর অন্যান্য স্ত্রীর সন্তানের সমাজের মানুষজন খারাপ চোখে দেখে আসছে।
এবিষয়ে বুড়িমারি ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তোবারক হোসেন বলেন হবি মেম্বার সমাজে বিশঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। এই সভ্য সমাজে একটি মানুষ কিভাবে এতোগুলো বিয়ে করে তাঁর বর্তমানে চারটি বউ আছে সে আরো একজনকে বিয়ে করেছে বলে শুনেছি।
বুড়িমারি ইউপি চেয়ারম্যান নেওয়াজ নিশাত বলেন ঘটনা সত্য। তিনি হাবিবুর রহমান হবি প্রতিনিয়ত সমাজে ঘৃণ্য ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। একটা মানুষের চারটি বউ থাকার পরও তিনি কিভাবে পরকীয়া করেন। আমরা সমাজের সকলে মিলে তাকে ভালো করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেন না। কিছুদিন আগেও আমরা এবিষয়ে মিমাংসার চেষ্টা করেছি কিন্তু তিনি সায় দেননি।
সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় উক্ত হাবিবুর রহমান হবির এই ঘৃণ্য ঘটনায় উক্ত এলাকা বাসি পরিবারটিকে ঘৃণার চোখে দেখছেন এবং সামাজিক ভাবে তাদের এড়িয়ে চলছেন। তারাও এই নারী লোভী ব্যক্তির বিচার চান।