বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলতা গ্রামে সংযোগ রাস্তা সহ জনগুরুত্বপূর্ণ একটি আয়রণ ব্রিজ যে কোন সময় খালে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এলজিইডি’র অর্থায়নে মাছরং-আলতা কার্পেটিং রাস্তার কাজ করার সময় ঠিকাদার ওই ব্রিজের এপ্রোচের পাশের খালে পাইলিং না করায় সংযোগ রাস্তা খালে ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি এখন ব্রিজটিও বিলীণ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ইতোমধ্যে খালের মধ্যে রাস্তা এবং ব্রিজের অনেকাংশ দেবে গিয়ে ও ভেঙ্গে পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনেও রাস্তার ওই অংশে সংস্কার না করায় ১১ আগস্ট মঙ্গলবার তাইজুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক যুবলীগ কর্মী রাস্তা ও ব্রিজটি রক্ষা করতে খালের পাশে নিজের বাগানের বাঁশ ও মেহগিনি গাছের গুড়ি দিয়ে পাইলিং করতে উদ্যোগে হন।
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় অবশেষে এলাকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই সে একাই সকাল থেকে পাইলিং করার কাজ করছেন। কোন শ্রমিক না নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রশ্ন রেখে বলেন বেকার অবস্থায় শ্রমিক নিয়ে কাজ করালে তার পারিশ্রমিক দিবো কিভাবে।
তবে ব্যক্তি উদ্যোগের এ পাইলিং সংযোগ রাস্তা ও ব্রিজটি রক্ষা করা সম্ভব হবে না বলে অভিজ্ঞজনের অভিমত। এগুলো রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে স্থায়ী পাইলিংয়ের প্রয়োজন। ওই রাস্তা ও ব্রিজ দিয়ে মাঝ রং দরবেশ গেট হয়ে আলতা ফায়জুল হক ব্রিজ পেড়িয়ে গাভা,নরেরকাঠি ও পাশ্ববর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার আটঘর ও কুড়িয়ানা গ্রামে যেতে দিন-রাত শত শত মানুষ চলাচল করেন।
যাতায়াতের বাহন হিসেবে ইজি-বাইক,টমটম,বৌ-গাড়ি ও রিক্সা সহ বিভিন্ন ধরণের যান এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকে। তবে রাস্তা ও ব্রিজটি বেহাল অবস্থায় পতিত হওয়ায় এক প্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের মানুষকে।
অচিরেই রাস্তা ও ব্রিজটি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী । এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির বলেন খর¯্রােতা গভীর ওই খালে পাইলিং দিলেও ওই রাস্তা ও ব্রিজ রক্ষা করা সম্ভব হবেনা, বিকল্প স্থান থেকে নতুন রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।