ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের দাতপুর গ্রামের হারুন শেখের মেয়ে রিতু আক্তার (২০)কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে যানা যায়,উপজেলার তালমা ইউনিয়নের শাকপালদিয়া গ্রামের খোকন মেম্বারের ছেলে রাজুর (২৫) কর্তৃক ধর্ষেনে শিকার হয়ে রিতু মা,হতে চলছে।
অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী রিতু বলেন,প্রায় তিন বছর আগে লস্কারদিয়া শামা ডেইরি ফার্মের পাশে দাদপুর গ্রামে “চিপ দা চিল্ড্রেন ট্রেনিং সেন্টার থেকে রাজু সাথে তার পরিচয় হয়।সে থেকেই আমাদের দুই জনের সাথে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক।দুই জনের কথা বার্তার মাধ্যমে গভীর সম্পর্ক হওয়ায় রাজু বিভিন্ন জায়গায়া বেড়াতে নিয়ে বিয়ে করার কথা বলে ধর্ষন করে।
বিয়ে না করে এই ভাবে মেলামেশা করায় আগেও দুই বার অন্তঃসত্ত্বা হই।তার মা,বাবা মেনে নিবেনা বলে ঔষধ খাইয়ে পেটের বাচ্চা নস্ট করে।বার বার রাজুকে বিয়ে করার কথা বলি সে আজ কাল সময় করায় প্রায় ৩ মাস আগে আবারও রাজুদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে ধর্ষন করায় আমি গর্ববতি হয়ে পড়ি।রাজুকে মা,হতে চলেছি বলে জানালে রাজু ফরিদপুর কোর্টে নিয়ে আমাকে নোটারীর পাবলিক এর মাধ্যমে বিয়ে করে।
কোর্ট ম্যারেজ করে কলমা পড়িয়ে বিয়ে শেষে পিত্রালয় চলে আসি।আমার স্বামী রাজু আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ না করায় রাজুদের বাড়িতে শাকপালদিয়া গ্রামে যাই।রাজুকে বাড়িতে না পাওয়ায় বিষয়টি রাজুর মা’কে জানাই।বিষয় শুনে রাজুর মা আমাকে মারপিট করে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বিচারের আসায় এলাকার মাতুব্বরদের কাছে ছোটাছুটি করছি।
রিতু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় এলাকায় জানাজানি হলে তা রাজুদের পরিবারের এবিষয় কোন মাথা বেথা নেই।খোকন মোল্লার ছেলে রাজু বাড়ি থেকে অন্যত্র পালিয়ে থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে রাজুর মা বলেন ছেলে আমার নির্দোষ।
এবিষয় রাজুর পিতা খোকন মেম্বার বলেন তারা মামা করুক যদি রক্ত টেস্ট করে আমার ছেলে ধরা পড়ে তা হলে বউ করে ঘরে উঠাব।
এছাড়া তিনি মেয়ে পক্ষ কে আসামী করেও মামলা দিবেন বলেও জানায়।অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী রিতু স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে চায়,তারাও এলাকায় বিচার না পেলে থানায় মামলা করবেন।