পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় বৈরী আবহাওয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধিও কারনে চরম ভোগান্তিতে উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের মানুষ। ভোগান্তিতে উপজেলাবাসীসহ চাষের জমি ও বীজতলা। পানি বৃদ্ধির কারণে চরম ভোগান্তিতে পরেছে মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত সাতদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও অমাবস্যার কারণে জোয়ারের পানি তেঁতুলিয়া নদীর স্বাভাবিকের তুলনায় ২.৫ থেকে ৩ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
হাজীর হাট গ্রাামের মোসলেম উদ্দিন বলেন, ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে নদী সংলগ্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
বাঁশবাড়িয়া গ্রাামের মোঃ হারুন বলেন, জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় যদি আর একটু পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে আমার বসতবাড়ি ডুবে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে এর প্রতিকার চাই ।
উপজেলা আ”লীগের সাধারন সম্পাদক ও দশমিনা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড, ইকবাল মাহামুদ লিটন বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চেয়ে বৃদ্ধিও কারনে উপজেলার সকল ইউনিয়নের মানুষ ও চাষের জমি পানিতে প্লাবিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও আমবস্যার জোয়ারের পানিতে সমস্যা করেছে। আর এ উপজেলা তেঁতুলিয়া নদীর উপকূলে অবস্থিত হওয়ার কারনে এ এলাকায় একটু জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।