কাপাসিয়ায় বন্ধুর স্ত্রীর ‘গোপন ভিডিও ধারণ, ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ‘তিন বন্ধুর পালাক্রমে ধর্ষণ’
কাপাসিয়ায় বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে গোপনে ভিডিও ধারন করার অভিযোগ উঠেছে রাসেল মোল্লা নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
পরে আর ওই ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আটমাস ধরে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছেন তিনি।
এ ঘটনায় সহায়তা করে আসছিলেন রাসেল মোল্লার অপর দুই বন্ধু। পরে তিনজনের নাম উল্লেখ করে নির্যাতিতা গৃহবধূ কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, কাপাসিয়া উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মাহফুজুর রহমান রাসেল মোল্লা (৪০), খাইরুল ইসলাম সবুজ (৩৮) ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক জাকির হোসেন সোহেল (৩৯)। অভিযুক্তরা সবাই উপজেলার সাফাইশ্রি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার পর ওই গৃহবধূকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দলিল লেখক মাহফুজুর রহমান রাসেল মোল্লার সঙ্গে একই গ্রামের তার জনৈক বন্ধু গত প্রায় দুই বছর ধরে শিক্ষানবিশ সহকারী হিসাবে কাজ করছেন। সেই সুবাদে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রাতে রাসেল মোল্লা সুযোগ বুঝে তার ওই সহকারীর বাড়িতে যান। সহকারী বাড়িতে না থাকায় অপেক্ষার একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং কৌশলে তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। একপর্যায়ে ওই ভিডিও দেখিয়ে গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেইল করে অপর দুই বন্ধুর সঙ্গে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন। তাদের কথামতো না চললে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তা প্রচার করার হুমকি দেন।
গত ২২ জুলাই রাতে অভিযুক্ত খাইরুল ইসলাম সবুজ ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান এবং তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে বিষয়টি গৃহবধূর স্বামী জানতে পারেন।
গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলোচিত ওই তিন বন্ধু মিলে গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমমি দেন।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা এখনো পলাতক তাদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।