November 23, 2024, 1:25 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া ছেলের আত্মহত্যা।

তাপস কর, ময়মনসিংহ
  • আপডেটের সময় : শনিবার, আগস্ট ২৯, ২০২০
  • 267 দেখুন

য়মনসিংহ প্রতিনিধিঃমাছের পোনা বিক্রেতা ও শুঁটকির দোকানদার আবুল হোসেনকে এলাকায় সবাই চেনে ‘সুদি আবুল’ হিসেবে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি হয়ে ওঠেন কোটিপতি। অঢেল সম্পদের মালিক হলেও একমাত্র ছেলে মানিক মিয়া (২৫) ছিলেন সব কিছুতেই অবহেলিত ও বঞ্চিত।

সম্প্রতি আবুল হোসেন কিছু সম্পদ ছেলেকে না দিয়ে তিন মেয়ের মধ্যে বণ্টন করে দেন। এতে বঞ্চিত ছেলে মানিক প্রতিবাদ করে কোনো ফল না পেয়ে ক্ষোভে বিষপানে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আবুল হোসেনের তিন মেয়ে ও একমাত্র ছেলে মানিক। নিজের সহায়সম্পদ বলতে কিছু না থাকলেও এলাকায় ঘুরে মাছের পোনা বিক্রি ছাড়াও স্থানীয় বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করতেন আবুল হোসেন।

এ অবস্থায় কিছু দিনের মধ্যে আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে যান তিনি। মোটা অংকের সুদে টাকা ধার দেওয়া শুরু করেন এলাকায়। গত ১০ বছরে কোটিপতি হয়ে যান আবুল হোসেন। এলাকার মানুষ সুদের টাকা দিতে না পারলে নিজের নামে লিখে নেন তাদের সহায়সম্পদ।

এলাকাবাসী জানান, এত সম্পদের মালিক হলেও নিজের ছেলেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে দূরে সরিয়ে রাখতেন আবুল হোসেন। বাবা-ছেলের মাঝে এ ধরনের ঘটনায় বেশ কয়েকবার সালিস-দরবারও হয়।

সম্প্রতি আবুল হোসেন নিজের সম্পদের বেশ কিছু অংশ তিন মেয়ের নামে লিখে দেন। এতে ছেলে প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন কটুক্তি করে অপমান করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষুব্ধ ও অপমানিত ছেলে মানিক সবার অজান্তে বিষপান করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে মারা যান মানিক।

স্থানীয়রা মনে করে, সব সহায়সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে মনের ক্ষোভে মানিক আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। জানা যায়, মানিক বিবাহিত ও তিন মেয়ের বাবা।

নিহত মানিকের বাবা আবুল হোসেন জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের কারণেই তাঁর ছেলে বিষপানে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। নিজের সহায়সম্পদ নিয়ে ছেলের সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ ছিল না বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102